বেত্রাঘাতে ছাত্রের চোখ নষ্ট, প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা
- ০৮ মে ২০১৯, ১৭:৩৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ক্লাসে ইংরেজি পড়া না পারায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে রিফাত মিয়া নামে এক ছাত্রের চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোঃ সেলিম উদ্দিন তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রিফাত মিয়া ক্লাসে ইংরেজি পড়া না পারার কারণে বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মোঃ জাবেদ মিয়া তাকে বেত্রাঘাত করে। এ সময় রিফাতের বাম চোখে বেতের আঘাত লাগে।
পরে আহত রিফাতকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন। রিফাতের চোখ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় আহত রিফাতের বাবা সিজিল মিয়া অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ জাবেদ মিয়া, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে এই মামলায় প্রধান আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট অমর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র রিফাত মিয়া ক্লাসে ইংরেজি পড়া না পারার কারণে বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মোঃ জাবেদ মিয়া তাকে বেত্রাঘাত করে। এ সময় রিফাতের বাম চোখে বেতের আঘাত লাগে।
এ বিষয়ে নয়া দিগন্ত অনলাইনে গত ২৩ এপ্রিল সংবাদ প্রকাশের পর ওই রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কার আর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে শোকজ করে, নবীনগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে গঠন করা হয় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি। এই কমিটিকে এক দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নিদের্শ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তদন্ত রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল রাতে আহত শিক্ষার্থী রিফাতের পিতা সিজিল মিয়া বাদী হয়ে থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে পলাতক ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম।