নুসরাত হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় রাজনীতি জড়িত : ডিআইজি রুহুল আমিন

নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি তদন্ত কমিটির প্রধান পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি মো: রুহুল আমীন বলেছেন, ২৭ তারিখের যৌন হয়রানির ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন, ম্যানেজিং কমিটি ব্যবস্থা নিলে নুসরাতের গায়ে আগুনের ঘটনা এড়ানো যেত।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে নুসরাতের ঘটনায় সোনাগাজী থানার সাবেক ওসির ত্রুটি-বিচ্যুতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার গাফিলতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হতে আরো সময় লাগতে পারে। নথিপত্র যাচাই-বাচাই চলছে। সাধারণ একটি মামলা তদন্ত করতে এক মাস সময় লাগে। এটি একটি বড় ঘটনা, তাই কিছুটা সময় লাগবে।

অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনেক খারাপ হিস্ট্রি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে স্থানীয় রাজনীতির বিষয়ও জড়িত রয়েছে। একই দলের দুইজন কাউন্সিলর অধ্যক্ষের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন করেছেন। প্রাথমিকভাবে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

দুই দিনব্যাপী ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তার নেতৃত্বে একজন পুলিশ সুপার, দুজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন পরিদর্শক এ তদন্তে উপস্থিত ছিলেন।

মাদরাসার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার তারা মাদরাসার শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন এবং ঘটনা সম্পর্কে তাদের মতামত গ্রহণ করেন। বুধবার তারা নুসরাতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। সেখান থেকে সোনাগাজী আলহেলাল একাডেমী সংলগ্ন সামাজিক কবরাস্থানে গিয়ে নুসরাতের কবর জিয়ারত করেন।

বৃহস্পতিবারও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য, নুসরাতের পরিবার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীদের মতামত গ্রহণ করেন।

সূত্র জানায়, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব নেয়ার তিন দিন পর পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার প্রাথমিক তদন্তের বিষয়গুলো উল্লেখ করে পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে সোনাগাজীর ওসিসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমান কমিটিও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনসহ প্রশাসনের কোনো ধরনের গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখেন। তদন্ত কমিটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবেন বলে জানিয়েছেন। আইজিপির নির্দেশে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।