২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

ফেনীতে মাদরাসাছাত্রীর গায়ে ‘সিগারেটের আগুন’

ফেনীতে মাদরাসাছাত্রীর গায়ে ‘সিগারেটের আগুন’ - সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বর্বরোচিত হত্যার ঘটনায় ফেনীসহ সারা দেশ যখন উত্তাল তখন পরশুরামে মাদরাসা ছাত্রীদের দিকে ‘জ্বলন্ত সিগারেট’ নিক্ষেপ করেছে রাসেল নামে এক বখাটে। এলাকাবাসীর গণধোলাইকালে পুলিশ হাজির হয়ে ওই বখাটেকে থানায় নিয়ে রাতে তাকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে।

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল করিম মজুমদার বাদল জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে জানান।

এলাকাবাসী, মাদরাসার শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, গত সোমবার বিকেলে ছুটি শেষে খণ্ডল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার কয়েকজন ছাত্রী বাড়ি যাচ্ছিল। পথে স্থানীয় চিহ্নিত এক বখাটে তাদের লক্ষ্য করে জ্বলন্ত সিগারেট ছুড়ে মারে। এ সময় নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বোরকা ও পায়ের ওপর পড়ে। অন্য সহপাঠীরা তখন চিৎকার করলে বখাটে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে অভিভাবক ও এলাকার লোকজন জড়ো হয়। বিকেলে তৎসংলগ্ন সাহেবের বাজারে তাকে আটক করে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় থানার এসআই মোতাহের হোসেনের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। রাতেই স্থানীয় একটি মহল দেনদরবার করে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয় সেই বখাটেকে। বখাটে রাসেল চারিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা লিটনের ছেলে।

একটি সূত্র জানায়, এর আগে ২০১৮ সালে মাদরাসার জানালা দিয়ে ওই বখাটে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। ওই ঘটনায়ও তাকে আটক করে মারধর করা হয়। তখনো স্থানীয় একটি মহল তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে এলাকায় স্কুল-মাদরাসা পড়–য়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের আরো অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু তাহের ভূঞা জানান, ঘটনার পরপরই আমি বাড়ি থেকে ছুটে এসেছি। এলাকার লোকজন তাকে আটকের পর পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পরে কিভাবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে তা জানা নেই। তার তিন নাতনি এ মাদরাসায় পড়াশোনা করছে। নিরাপত্তা দিতে অপারগ হলে তাদের ছাড়পত্র দিতে মাদরাসার সুপার ও শিক্ষকদের জানিয়েছি।

মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল করিম মজুমদার বাদল জানান, ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়েছে বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পাটোয়ারি জানান, বিষয়টি তেমন কিছু নয়। এটি আমরা বসে মীমাংসা করে দিয়েছি।
থানার এসআই মোতাহের হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসি। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কোনো ছাত্রীর পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি।
পরশুরাম মডেল থানার ওসি মো: শওকত হোসেন জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনা তার জানা নেই।


আরো সংবাদ



premium cement