২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

অবশেষে ছাত্রী ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেন ফেনীর সেই প্রধান শিক্ষক

অভিযুক্ত ধর্ষক প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল করিম - সংগৃহীত

অবশেষে ছাত্রী ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেন ফেনীর একটি স্কুলের সেই আলোচিত প্রধান শিক্ষক। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল করিমকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে উপস্থিত নিজ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন তিনি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোবারক হোসেন জানান, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কারাগার থেকে দাগনভূঞা থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্ন সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।

স্বীকারোক্তিকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জানান, স্কুলের নিজ কক্ষেই স্কুল সময়ের আগে-পরে ওই ছাত্রীকে তিনি একাকি ধরে রাখতেন। তাকে বিভিন্ন প্রলোভনে তিনি দফায় দফায় ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তিনি বিষয়টি আপোসরফারও চেষ্টা চালান।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বড়বোন বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল করিমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

এর আগে গত রোববার একই আদালতে ২২ ধারায় ওই ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এরপর ফেনী সদর হাসপাতালে তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

আরো পড়ুন : পুকুরে গোসলের সময় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক
নয়া দিগন্ত অনলাইন, (০৯ এপ্রিল ২০১৯)

ধর্ষক এখনো কিশোর বয়সের কোঠা পার করেনি। কিন্তু বখাটে হিসেবে সে হয়তো এলাকার শীর্ষেই থাকবে। বড়শি দিয়ে পুকুরে মাছ ধরার সময় আশেপাশে কেউ না থাকার সুযোগে এক স্কুলছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের শিবচরে। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী ও অভিযুক্ত ধর্ষকের পরিবার একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে।

পুলিশ ও ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের চরকমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা আচার বিক্রেতা তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে একই উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর বাজারসংলগ্ন একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সোমবার দুপুরে আচার বিক্রেতার মেজ মেয়ে ৫নং ছলেনামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী বাসার পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে যায়।

এ সময় পুকুর পাড়ে একই বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া রুবেল বিশ্বাসের ছোট ভাই নাসির বিশ্বাস (১৪) বড়শি দিয়ে মাছ ধরছিল। স্কুলছাত্রী মেয়েটি গোসল করতে গেলে আশপাশে কেউ না থাকার সুযোগে নাসির রশি দিয়ে মেয়েটির হাত বেঁধে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি হাতের বাঁধন খুলে কাঁদতে কাঁদতে বাসায় ফিরে আসে।

এ সময় মেয়েটির রক্তক্ষরণ দেখে তার মা কারণ জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি ঘটনা খুলে বলে। পরে তাকে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিবচর থানায় খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত ধর্ষক নাসিরকে আটক করে ও মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। আটককৃত নাসির বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার হারুন বিশ্বাসের ছেলে। সে তার বড় ভাই শেখপুর এলাকার অটোচালক রুবেলের ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ করে। এ ব্যাপারে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এ বিষযে শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভূক্তভোগী স্কুলছাত্রী মেয়েটিকে একা পেয়ে নাসির ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মেয়েটির সাথে কথা বলে ঘটনার বিবরণ শুনে ধর্ষক নাসিরকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement