২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাগড়াছড়িতে গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

নিহত ইউপিডিএফ কর্মী তুষার চাকমা - সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি শহরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবদমান দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে ইউপিডিএফ(প্রসীত) গ্রুপের কর্মী তুষার চাকমা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এই গুলাগুলি ও নিহতের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের নারায়ণখাইয়া এলাকার এলজিইডি ও জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ইউপিডিএফ(প্রসীত) সদস্য তুষার চাকমা ঘটনাস্থলে মারা যায়। খবর পেয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত তুষার চাকমা ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের কর্মী। তার বাড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলায়।

ইউপিডিএফ(প্রসীত)গ্রুপের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক নিরণ চাকমা জানান, একজন মারা যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানি না।

 

আরো পড়ুন : খাগড়াছড়িতে দুইপক্ষের গোলাগুলিতে ৬ জন নিহত
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা, (১৯ আগস্ট ২০১৮)

এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপিডিএফ (প্রসীত বিকাশ খীসা) ও জনসংহতি সমিতি এম এন লারমা গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলিতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। খাগড়াছড়ি জেলা শহরের স্বনির্ভর এলাকায় শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরো তিনজন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য বলে জানা গেছে। জানা গেছে, গ্রামবাসীকে নিয়ে ইউপিডিএফের গতকাল সকালে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার কথা ছিল। তার আগেই এ ঘটনা ঘটে।

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল আউয়াল ও খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন টিটু দুটি আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলির কথা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন হতাহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সদর থানার ওসি ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওসি জানান, ওই এলাকায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।

ইউপিডিএফের জেলা সংগঠন মাইকেল চাকমা গোলাগুলির অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, অতর্কিতে জেএসএস সংস্কারপন্থীদের সশস্ত্র সদস্যরা স্বনির্ভরস্থ তাদের দলীয় কার্যালয়ে ব্রাশ ফায়ার করে। গুলিতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ভারপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি তপন চাকমা, পিসিপি কর্মী এল্টন চাকমা ও গণতান্ত্রিক যুবফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা পলাশ চাকমা নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।

নিহত অন্য তিনজনকে গ্রামবাসী ও পথচারী বলে দাবি করেন তারা। আহতরা হলেন- সমর বিকাশ চাকমা (৪৮), সুকিরন চাকমা (৩৫) ও সোহেল চাকমা (২২)।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা এ ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতিকে (এমএন লারমা) দায়ী করছেন। অপর দিকে জনসংহতি সমিতির নেতা সুধাংকর চাকমা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই ঘটেছে।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনার পর খাগড়াছড়ি-পানছড়ি আন্তঃউপজেলা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মারামারি, মাঠ ছেড়ে উঠে গেল সাদা-কালোরা কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পান, সেভাবেই ধানের দাম নির্ধারণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সিএনজি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪ ভান্ডারিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে দর্শনার্থীদের ঢল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন স্কুল বন্ধের দাবি চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের সাদিক এগ্রোর ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ সারা বিশ্ব আজ জুলুমবাজদের নির্যাতনের শিকার : ডা. শফিকুর রহমান মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল