২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

সাজেকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরিচালকের মৃত্যু

নিহত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেদ - নয়া দিগন্ত

খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সীমান্তবর্তী জনপ্রিয় পর্যটন স্থান সাজেক ভ্রমণে গিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার সহকারী পরিচালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে সাজেক পর্যটন এলাকায় রুইরাং রিসোর্টে মারা যান তিনি। নিহত ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এই সহকারী পরিচালকের নাম মোঃ রাসেদ(৪৩)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাড় দেড়টার দিকে মোঃ রাসেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে তার সহকারী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরিচালক মোঃ রাসেদ ২৫তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করে চাকরি জীবন শুরু করেন। সম্প্রতি তার নেতৃত্বে ৩২ জনের একটি টিম শিক্ষা সফরের জন্য খাগড়াছড়ি ও সাজেক ভ্রমণে আসেন।

এ বিষয়ে সাজেক থানার ওসি(তদন্ত) ইব্রাহিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাজেকে শিক্ষা সফরে এসে এক সরকারি কর্মকর্তা রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
মোহাম্মদ আলী ঝিলন, গাজীপুর (১৩ জুলাই ২০১৮)

গাজীপুরের শ্রীপুরে নানার বাড়ী বেড়াতে গিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় পুকুরের পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় তাদের খালাতো বোন আহত হয়েছে। নিহতরা হলো শ্রীপুর উপজেলার গিলাশ্বর গ্রামের বাবুল হোসেনের মেয়ে সেতু (১৩) ও ছেলে তানজীদ আহমেদ (৭)। এদের মধ্যে সেতু গিলাশ্বর দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী এবং তানজীদ আহমেদ গিলাশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র।

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য নাজমুল হক আকন্দ রনি ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে মায়েদের সঙ্গে সেতু ও তানজীদ আহমেদ এবং তাদের খালাতো বোন সুমাইয়া গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামে নানা জালাল উদ্দিনের বাড়ীতে বেড়াতে যায়। বিকেলে নানার বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর পাড়ে অন্য শিশুদের সঙ্গে তারা খেলা করছিল।

খেলাধূলা করার এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় সেতু, তানজীদ ও সুমাইয়া পুকুরে নেমে পানিতে তলিয়ে যায়। এদিকে অন্য শিশুদের সঙ্গে সেতু, তানজীদ ও সুমাইয়াকে দেখতে না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে তারা পুকুরে তল্লাশী চালিয়ে পানির নীচ থেকে সেতু ও তানজীদের লাশ উদ্ধার করে। এসময় গুরুতর অবস্থায় সুমাইয়াকে উদ্ধার স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে সেতু ও তানজীদকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত সুমাইয়া এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য। সেখানে সেতু ও তানজীদকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত সুমাইয়া এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ওই ইউপি সদস্য।


এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে পুরো এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।


আরো সংবাদ



premium cement