সুইপার হানিফের দৈনিক ভাতা ১০০ টাকা, বাড়ি কিনেছেন কোটি টাকায়
- ফেনী সংবাদদাতা
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:৩৮, আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:৪৬
ফেনী পৌরসভার সুইপার হানিফ। বারাহিপুর এলাকায় তার রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি। পৌর এলাকায় তার নামে সম্পত্তিও রয়েছে। তার সম্পদের উৎস অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বিভিন্ন সূত্র জানায়, ফেনী পৌরসভায় দীর্ঘ দিন ধরে সুইপারের কাজ করেন হানিফ। ভাতা পান দৈনিক ১০০ টাকা। পৌরসভায় কাজ করার সুবাদে জড়িয়ে পড়েন মাদক ব্যবসায়। পৌরসভা সংলগ্ন নির্মাণাধীন শ্যাম নাহার গার্ডেনের পেছনে শুরু করেন মাদক কেনাবেচা। সেটি এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন সময় তাকে ধরতে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের মাদক বিরোধী টাস্কফোর্স পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত, পুলিশ, এমনকি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হন হানিফ। পরে কিছুদিন কারাভোগের পর জামিনে বের হয়ে ফের মাদক কারবারে জড়িয়ে যান শহরতলীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের নগরকান্দি গ্রামের এ বাসিন্দা।
একটি সূত্র জানায়, মাদক কেনাবেচার ফলে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যান সুইপার হানিফ। পৌরসভার বারাহিপুর এলাকার রেললাইন সংলগ্ন বঙ্গবীর ওসমানী সড়কে মো: নুর আলম ওরফে আলম বাবুর্চি থেকে পাঁচ শতক জমিসহ দ্বিতল ভবনের বাড়ি কিনেন তিনি। ৭০ লাখ টাকা মূল্যে কেনা ৬৫/০২ হোল্ডিংয়ের ওই বাড়িটিতে চার পরিবার ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন। এ ছাড়া, রেললাইনের পাশে আনসার সফি থেকে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে চার শতক জায়গা কিনেন হানিফ।
বাড়ির ভাড়াটে নাসির উদ্দিন জানান, গত প্রায় এক বছর ধরে তিনি এ বাসায় সপরিবারে বসবাস করছেন। মাসিক হারে হানিফকে ভাড়া দেন পাঁচ হাজার টাকা।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক অমত্য সেন জানান, সুইপার হানিফ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তাকে ধরতে বিভিন্ন সময় বারাহিপুর রেললাইনের পাশে কেনা বাড়িটিতেও অভিযান চালানো হয়েছে। ২০১৮ সালের ৮ মার্চ পুলিশ কোয়ার্টার আলকেমী হাসপাতাল সংলগ্ন রহিমা ম্যানশনের ভাড়া বাসা থেকে ৪০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর দুইমাস পর ৩০ মে শ্যাম নাহার গার্ডেনের পেছনে তার আস্তানা থেকে ২০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধার করা হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক তদন্তে হানিফের কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
দুদক নোয়াখালী অঞ্চলের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, হানিফের সম্পদের খোঁজে দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। তদন্ত কাজ অনেক দূর এগিয়েছে। উপ-সহকারী পরিচালক আলতাফ হোসেন তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি অন্যত্র বদলি হওয়ায় নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি।
ফেনী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশ্রাফুল আলম গিটার জানান, হানিফ ‘মাস্টার রোলে’ সুইপারের কাজ করত। মাদকসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে গ্রেফতারের পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার সুইপার হানিফ বলেন, ‘দুদকের তদন্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। গ্রামের বাড়িতে পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে পৌর এলাকায় বাড়ি ও জায়গা কিনেছেন বলে তার দাবি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা