২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় এমন বর্বরতা!

আটক ৪ : রিমান্ডের আবেদন
ধর্ষণ
অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় ভয়াবহ নির্যাতন - ছবি : নয়া দিগন্ত

নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকায় রাহেনা বেগম (১৯) নামে এক গৃহকর্মীকে অনৈতিক কাজে রাজী না হওয়ায় বাসায় আটকে রেখে অ্যাসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজের নিচে ফেলে রাখা হয়।

সেখান থেকে তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সোমবার রাতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ভিকটিমের বড় ভাই জাকির হোসেন বাদী হয়ে নোয়াখালী সুধারাম থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

সুধারাম মডেল থানার পুলিশ সোমবার রাতে মো: সাহাব উদ্দিন, মিজানুর রহমান সুমন, আলেয়া বেগম ও রীনা আক্তার নামে চারজনকে গ্রেফতার করে। আজ মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত চার আসামিকে নোয়াখালী ১নং আমলী আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

জানা গেছে জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের চরনঙ্গলিয়া গ্রামের নির্যাতিতা রাহেনা আক্তারকে তাদের প্রতিবেশী রিনা আক্তার প্রায় চার মাস আগে তাকে বাসায় কাজ দেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে নোয়াখালী জেলাশহর মাইজদী নিয়ে আসে। প্রথম মাস মাইজদী নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রিনার বাসায় ছিল। পরে তাকে রিনা তার পরিচিত আলেয়া বেগম নামের এক মহিলার বাসায় দেয়। সেখানে তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করায়।

সেখান থেকে তিন মাস আগে বাসা পরিবর্তন করে শহরের বালুরমাঠ-সংলগ্ন মাইজদী হাউজিং এস্টেটে একটি নতুন বাসা ভাড়া নেন। তখন থেকে দুই মাস ভালোভাবেই ওই বাসায় কাজ করেছিলেন। কিন্তু মাস খানের আগে গৃহকর্তী তাকে বাসায় অসামাজিক কাজ করার জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হলে তার উপর মারাত্মক নির্যাতন চালানো হয়।

নির্যাতিতা রাহেলা জানান, তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে পুরো শরীরে আঘাত করা হয়। মুখের ভেতর ওপরের পাটির বেশ কয়েকটি দাঁত তুলে ফেলা হয়। তারপরও তিনি অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় গত প্রায় ৮-১০ দিন আগে রাতের বেলায় তার শরীরে অ্যাসিড ঢেলে দেয়া হয়। এতে তার বুক, পেট, পিটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে ঝলসে যাওয়া শরীরের অংশ থেকে পঁচন ধরলে তাকে বাসযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে কালুরঘাট এলাকার একটি ব্রিজের নিচে ফেলে আসা হয়।

এ দিকে গুরুতর অসুস্থ ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো পরামর্শ দেয়। মাইক্রোযোগে রাহেনা বেগমকে ঢাকা নেয়ার জন্য যখন প্রস্তুতি নেয়। তখন সুধারাম থানার পরিদর্শক সাইফুল আলম মামলার প্রস্তুতি নেয়ার নামে অ্যাম্বুলেন্সসহ অসুস্থ মেয়েটিকে সুধারাম থানার সামনে রাত পৌনে ১টা পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ ঘন্টা আটকে রাখেন। শুধু তাই নয়, পরিদর্শক সাইফুল বলে উঠেন গ্রেফতারকৃত চারজনের মধ্যে একজন নিরপরাধ। তদন্ত ছাড়া কী ভাবে বলছেন নিরপরাধ- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

গত ৫ মাস আগে হাতিয়ার ভূমিহীন বাজারে জনৈক মহিলাকে নির্যাতনের পর থানায় মামলা করে সন্ত্রাসী জাফরের বিরুদ্ধে। তখন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভিকটিম থেকে মামলা প্রত্যাহরের জন্য পরিদর্শক সাইফুল আলম সাদাকাগজে স্বাক্ষর নিতে হাসপাতালে আসেন। পরে সে মামলায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার ইলিয়াস শরীফের নির্দেশে আসামি গ্রেফতার হয়।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমকে দেখে এসেছেন। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে সুমন ও সাহাবুদ্দিনসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ গাড়ি কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভেদ শরীয়তপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার আবাদ মিরসরাইয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আলুতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ২৩ এস্কেভেটর ও ৮ ট্রাক ফেলে পালালো বালুদস্যুরা বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা গলাচিপায় নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে শোকজ হোসেনপুরে গ্রামের গ্রাহকরা দিনে এক ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না ঈদগাঁওতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৭ প্রার্থীকে জরিমানা গাজীপুরে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন

সকল