১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বান্দরবানে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফাঁকা গুলিবর্ষণ, আটক ২

বান্দরবানের শহর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গলোযোগের সময় পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপ - নয়া দিগন্ত

বান্দরবানের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে। বেলা ১২ টার দিকে বান্দরবান সদরের বালাঘাটা হাফেজ ঘোনা, বাস স্টেশন ও শহর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে আলীকদম উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে গলোযোগ হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় আতংকে ভোটারা ভোটকেন্দ্র থেকে বের হয়ে যায়।

জানা যায়, দুপুরে পরও জেলার অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রগুলো ফাঁকা ছিল। জেলার লামা, আলীকদম, নাইক্ষংছড়িসহ অধিকাংশ এলাকায় একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে।

ভোটারারা জানান, সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বান্দরবানে ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল। পরে কেন্দ্রগুলোতে গলোযোগ শুরু হয়।

এদিকে রোয়াংছড়ি সদরে বিএনপি প্রার্থী সাচিং প্রু জেরীর একটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করেছে দুর্বত্তরা। সেখানে পোস্টারও ছিড়ে ফেলা হয়। জেলার আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে মোঃ জালাল ও মোঃ জাকিউল নামে পুলিশ ২ বিএনপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

এছাড়া শহরের বাস স্টেশন কেন্দ্রে আহত হয়েছে মোঃ ইসমাইল নামে এক বিএনপি নেতা। লামায় ভোট দিতে না পেরে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছে। জেলা সদরের সুয়ালক এলাকায় কয়েকটি কেন্দ্রে দুপুরে পর ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

বিএনপি প্রার্থী সাচিং প্রু জেরী অভিযোগ করেন, পুলিশ গুলিবর্ষণ করে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে ভোটারদের মাঝে আতংক তৈরী করেছে। ভোটারা ভোট দিতে পারেনি। কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদান করা হয়েছে। ব্যাপক গলোযোগ হওয়ায় বান্দরবানের গজালিয়া, ফাইতং, ফাঁসিয়খালী ও আজিজনগর ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ স্থগিত করার জন্য রিটানিং অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ হতে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বান্দরবান সদর ও আলীকদমের ওসি ত্রাস সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে।

এদিকে বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অধ্যাপক ওসমান গণি জানান, নির্বাচনের কোনো পরিবেশই ছিল না। কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা ভোটকেন্দ্রের পাশেও যেতে পারেনি।

অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার দাউদুল ইসলাম জানান, কিছু কিছু এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। তবে পুরো জেলায় নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক ছিল। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানিয়েছেন, ৭টি উপজেলায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রগুলোতে গিয়ে ভোটপ্রদান করে।

এদিকে জেলা সদরের কয়েকটি কেন্দ্রে ফাঁকা গুলিবর্ষণ সম্পর্কে সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকরা কয়েকটি কেন্দ্রে গোলোযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এ সময়ে পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে ফাকা গুলিবর্ষণ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। তবে কিছুক্ষণের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকলেও পরে ভোটাররা আবার ভোট দেয়।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল