১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আ.লীগের সরব প্রচার, গ্রেফতার আতংকে বিএনপি

আ.লীগের সরব প্রচার, গ্রেফতার আতংকে বিএনপি - ছবি : নয়া দিগন্ত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ফেনী-২ আসনে সরকারি দল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ততই দাপটের সাথে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। অপরদিকে বিএনপিসহ জোট নেতাকর্মীরা রয়েছে গ্রেফতার আতংকে। প্রতিদিনই বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের ধরপাকড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। মঙ্গলবার তিনি দুটি জনসভার মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। প্রথমদিনে প্রচারণায় যোগ দেন তার রাজনীতির দুই গুরু চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম। এবারের প্রচারণায় তিনি স্ত্রী নুরজাহান বেগম নাসরিন ও মেয়ে নুর আহাদ জাহান স্নিগ্ধা হাজারীকেও সঙ্গে রেখেছেন।

বুধবারও ফরহাদনগর ও পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নে পৃথক দুটি জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। তার সমর্থনে ইউনিয়ন এবং পৌরসভার প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দিনভর চলছে মাইকিং। পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে অলি-গলিতে।

অপরদিকে ধানের শীষের প্রার্থী অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি মঙ্গলবার শহরের পাগলা মিয়ার মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে গণসংযোগ শেষে সমবায় সুপার মার্কেটের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্য রাখেন। এর কিছুক্ষন পরই ওই সড়ক থেকে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকাল থেকে শুরু হয় দলীয় নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে পুলিশের অভিযান।

বুধবার তিনি শহরের রামপুর এলাকার মেহেদী-সাঈদী হাফেজিয়া মাদরাসায় দলীয় নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন। এসময় বিপুল সংখ্যক পুলিশ আশপাশে অবস্থান নিলে সভা সংক্ষেপ করে নেতারা সরে পড়েন। এখান থেকে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো: ওয়াহিদুজজামান এবং পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকারের সাথে স্বাক্ষাত করেন।

অধ্যাপক জয়নাল আবদীন ভিপি নয়া দিগন্তকে জানান, প্রথমদিনে প্রচারণায় নেমেই তিনি ব্যাপক সাড়া পান। হঠাৎ নেতাকর্মীদের এমন উপস্থিতি দেখে পুলিশের ধরপাকড় অভিযান বেড়ে যায়। ওইদিন রাতে জেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি, যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, স্বেচ্ছাসেবক দল সাধারণ সম্পাদক এস.এম কায়সার এলিন সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর বাসাবাড়িতে হানা দেয়। পুলিশের সঙ্গে সরকারি দলের নেতাকর্মীরাও অভিযানে অংশ নেয় বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, এর আগে মনোনয়নপত্র জমার পরপরই তাকে শহরের ফলেশ্বরের বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এবং বেশ কয়েকজন দলীয় নেতাকর্মীকে মারধর করে পুলিশে দেয়া হয়। এসব ব্যাপারে তিনি গতকাল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সারাদেশের মতো ফেনীতেও নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই।

অপরদিকে নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, ফেনীতে চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। সরকারি দলের পক্ষ থেকে কোথাও কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না। বিগত ১০ বছরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালে শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন করায় নৌকার প্রচারণায় সাধারণ মানুষ স্বতস্ফূর্ত অংশ নিচ্ছেন।

বিএনপি নিজেদের বিভেদ ঢাকতে অহেতুক অভিযোগ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিবেশ যাতে অশান্ত করতে না পারে এজন্য আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সবসময় সতর্ক রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement