২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি প্রার্থীর আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু

আল্লামা সিরাজুল ইসলাম বড় হুজুরের (রহ.) কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল - নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় আল্লামা সিরাজুল ইসলাম বড় হুজুরের (রহ.) কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের ২০দলীয় জোট তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।

শুক্রবার বাদ জুমা স্থানীয় বিএনপি ও জোট নেতৃবৃন্দ এবং ওলামাদের নিয়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের ভাদুঘরে বড় হুজুর (রহ.) এর কবর জিয়ারত করেন।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জহিরুল হক খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোমিনুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলামসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা সারাদেশে বড় হুজুরের (রহ.) দীনি খেদমত আমাদের যুগ যুগ ধরে প্রেরণা যুগাবে। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ করেছিলেন তা ইসলাম ও মানবতার জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সেদিন ৬জন নিরপরাধ মাদরাসা ছাত্রের শাহাদাতের সিড়ি বেয়ে ২০০১ সালে ৪দলীয় জোটের বিজয়ের মাধ্যমে মানবতার পক্ষের সরকার গঠন সম্ভব হয়েছিল। তাই বড় হুজুর (রহ.) এর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করছি। আশা করি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহবান অনুযায়ী দেশের মানুষ ও মানবতার মুক্তি নিয়েই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।

বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল। ছাত্রজীবন থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। বিগত ২০০৯ সাল থেকে রাজনৈতিক ময়দানে দলের দুঃসময়ে কেন্দ্রীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি জেলা বিএনপির কাণ্ডারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এই নেতা।

বিগত ২০১১ সালে এ আসনের তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট লুৎফুল হাই সাচ্চুর মৃত্যুতে আসনটি শুন্য হলে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।

স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, উক্ত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবার কথা থাকলেও ব্যাপক কারচুপি ও কেন্দ্র দখল করে সীল মারাসহ জালিয়াতির মাধ্যমে তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়। এক পর্যায়ে তিনি ভোট বর্জন করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমন প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রাথী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

এর আগে নব্বইয়ের স্বৈরশাসনের পতনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত সবকটি নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির আধিপত্য ছিল। বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হারুন আল রশিদ এ আসনে পরপর কয়েকবার এমপি নির্বাচিত হবার পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর

সকল