দলে যোগ না দেয়ায় কলেজছাত্রীকে অপহরণ!
- খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা
- ২৪ নভেম্বর ২০১৮, ১১:২৯
নিজেদের পছন্দের দলে যোগ না দেয়ায় এক কলেজছাত্রীকে প্রায় তিনমাস ধরে নির্যাতন করেছে বলে কলেজছাত্রী অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনের শিকার কলেজছাত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
প্রসীতপন্থী ইউপিডিএফে যোগ দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হয়। মিতালী চাকমা নামে কলেজছাত্রী তাদের দলে যোগ না দেওয়ায় তাকে অপহরণ করা হয়। এরপর টানা তিন মাস তাদের আস্তানায় আটকে রেখে শারীরিক অত্যাচার ও নির্যাতন করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
শুক্রবার খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তিনি অপহরণকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হন। সংবাদ সম্মেলনে অপহরণকারীদের বিচার ও সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন।
পাশাপাশি ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের হাতে বন্দী আরো দুই নারীকে উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মিতালী চাকমা অভিযোগ করেন, তাকে দীর্ঘ দিন করে প্রসীতপহ্নীরা ইউপিডিএফে যোগ দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় গত ১৭ আগসট সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে আটকে রেখে বিয়ে প্রস্তাব দেয়। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় ৩০ আগস্ট তাকে ইউপিডিএফ নেতা অংগ্য মারমা ও শান্তি দেব চাকমার হাতে তুলে দেয়া হলে ইউপিডিএফ কর্মীরা তাকে দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের একপর্যায়ে মিতালী চাকমা আত্মহত্যারও চেষ্টা চালান। একপর্যায়ে গত ১৯ নভেম্বর সেনাবাহিনীর টহল দেখে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে মিতালী চাকমা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার হন।
মিতালী চাকমা জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার পর প্রাণভয়ে তিনি খাগড়াছড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কারণ বাড়িতে গেলে তাকে ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্রুপ) মৃত্যুদণ্ড দেবে। তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকিও দিচ্ছে তারা।
মিতালী চাকমা, যারা অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার জীবনকে দুর্বিষহ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও একই সাথে তার বাবা-মায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
তবে ইউপিডিএফের (প্রসীত) গণমাধ্যম শাখার নিরণ চাকমা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাটিকে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ও সাজানো নাটক বলে দাবি করেন।