২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপির ঘাঁটিতে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা - ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন চেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় ও যোগাযোগ করেছেন। পাশপাশি এই আসনে বিএনপি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় দুই উপজেলার বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নেতাকর্মীরা তাকে এই আসনে স্বাগত জানিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছেন।

এদিকে বিএনপি একটি নির্ভযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে মনোনয়নে তিনি গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন। দেশে বিএনপি ঘাঁটিঁ হিসাবে পরিচিত এই আসনটি ২০০৮ সালে পরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা এই আসনে যোগ্য নেতার অভাবকে দায়ী করছেন। তবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এই আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন পত্র নেওয়ার পর তাকে নিয়ে আলোচনা চলছে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সংসদীয় আসনজুড়ে। বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন ও সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলছেন। তাছাড়া গণমাধ্যমে সক্রিয় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে তার বক্তব্য দেশ-বিদেশে বেশ আলোচিত। ফলে কম দিনেই তিনি বিএনপির রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন । এছাড়া পারিবাহিক ভাবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা পিতা '৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক ভাষা সৈনিক অলি আহাদের মেয়ে তিনি। ফলে পারিবারিক ঐতিহ্যের দিক থেকেও তিনি এগিয়ে রয়েছেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, আমার বাবা ভাষা সৈনিক। পাশাপাশি তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জননন্দিত নেতা ছিলেন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাড়া দেশে আওয়ামী লীগের জোয়ারের ভিতরেও তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-০২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (গাভী মার্কা) হিসেবে ৪২ হাজার ভোট পেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে তাহের উদ্দিন ঠাকুর (সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী) ৩৪ হাজার ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন সময়ে ক্ষমতাসীনরা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ঢাকায় নিয়ে তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে আমি এ আসনে বিএনপি দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। আশা করি দলের প্রতি আমার ত্যাগ ও আমার ভূমিকা বিবেচনা করে মনোনয়ন প্রদান করা হবে। এসময় তিনি আরো জানান, মনোনয়ন পেলে আসনটি উদ্ধার করে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে উপহার দেব।


আরো সংবাদ



premium cement