১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিএনপিতে মিন্টুই ফেভারিট

আবদুল আউয়াল মিন্টু - সংগৃহীত

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুই দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ফেভারিট প্রার্থী। দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ায় তাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। তাদের মতে, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এফবিসিআইয়ের সাবেক এ সভাপতি একদিকে নিজ এলাকায় যেমন জনপ্রিয় অন্যদিকে বিএনপির ভোট ব্যাংক খ্যাত দাগনভূঞা-সোনাগাজী এলাকায় তিনি প্রার্থী হলে ধানের শীষের মোকাবেলায় প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বেন।

এ আসনে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে টানা তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। দলীয় মনোনয়ন ইস্যুতে তার সঙ্গে কেউ পেরে উঠেননি। তাকে ঠেকাতে বিএনপির একটি অংশ ২০০৮ সালে এইচআরসি গ্রুপের চেয়ারম্যান সাঈদ হোসেন চৌধুরীকে নিয়ে কলস প্রতীকে ভোট করলেও প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেননি। এর আগে ১৯৯১ সালে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে এ আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হন তৎকালীন কৃষক দল সভাপতি মাহবুবুল আলম তারা।

২০১৪ সালে মোশাররফ হোসেনের মৃত্যুর পর আবদুল আউয়াল মিন্টুই নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন। এ আসনে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে দলীয় ফরম জমা দিয়েছেন সাইদ হোসেন চৌধুরী। তিনি ওয়ান ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন।

এখানে মিন্টুর ছোট ভাই দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন ছাড়াও বিগ্রেডিয়ার (অব:) নাছির উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, সাবেক সদস্য বেলাল মিল্লাত, বর্তমান সদস্য এডভোকেট শাহানা আক্তার শানু, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জয়নাল আবদীন বাবলু, বর্তমান সহ-সভাপতি সোলায়মান ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, যুগ্ম-সম্পাদক ছালাহ উদ্দিন শিমুল, সদস্য মোরশেদ আলম সেলিম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-সম্পাদক সাদরাজ জামান ও সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম দুলাল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের আপ্যায়ন সম্পাদক খালেদ মাহমুদ মাসুদ, দাগনভূঞা সদর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক রিপন, দাগনভূঞা উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুল ইসলাম দুলাল, মালয়েশিয়া প্রবাসী পেয়ার আহম্মদ আকাশ ধানের শীষ চেয়েছেন। তারা তৃণমূলে যোগাযোগের পাশাপাশি হাইকমান্ডেও লবিং করছেন।

দলীয় নেতাকর্মী জানান, ব্যবসায়ীক জীবনে সফল আবদুল আউয়াল মিন্টু বর্তমানে দলে ‘থিংকট্যাংক’ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। জেলায় দলের অভ্যন্তরীন একাধিক ধারা থাকলেও সব অংশেই তার গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। সরাসরি অংশ না নিলেও সব নির্বাচনেই তার প্রভাব থাকে। তার ছেলে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বিগত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন।

দাগনভূঞা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক ছুট্টু জানান, বিএনপি অধ্যুষিত এ আসনে আবদুল আউয়াল মিন্টুই যোগ্য প্রার্থী। তাকে প্রার্থী দেয়া হলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি হারানো আসন পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে তার আশাবাদ।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টার বলেন, ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও দলীয় সমর্থনে ফেনী-৩ আসনে আবদুল আউয়াল মিন্টু অপ্রতিদ্বন্ধী। তাকে প্রার্থী করার মধ্য দিয়ে বিএনপি হারানো এ আসনটি পুনরুদ্ধার সম্ভব।


আরো সংবাদ



premium cement