২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কবর খুঁড়তে গিয়ে পাওয়া গেলো দুটি গ্যাস সিলিন্ডার

সিলিন্ডার
মাটি খুঁড়ে দুটি বেলুন আকৃতির সিলিন্ডার পাওয়া যায় - ছবি : নয়া দিগন্ত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কবরস্থান থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা সদরের বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থান থেকে সিলিন্ডারগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর আরিফাইল গ্রামের নোয়াব আলীর স্ত্রী বুধবার সকালে মারা যায়। আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে একই এলাকার মফিজুল (২২), ইকবাল (২৩), রিপন ও নাঈমসহ ৮/১০জন শাহী কবরস্থানে কবর খুঁড়তে আসেন। কবর খুঁড়ার এক পর্যায়ে কালো পলিস্টার কাপড়ে মোড়ানো শক্ত কিছু দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এ সময় পুলিশকে খবর দিলে সরাইল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাটি খুঁড়ে দুটি বেলুন আকৃতির সিলিন্ডার পায়।

দুষ্কৃতিকারীরা গ্যাস ব্যবহার করে তালা ভেঙ্গে চুরিসহ নাশকতার উদ্দেশ্যে সিলিন্ডারগুলো মাটিতে পুঁতে রাখতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া কবরস্থান থেকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন :
গাড়িসহ দেয়া হলো কবর!
নয়া দিগন্ত ডেস্ক, ১০ জুন ২০১
অন্তিম ইচ্ছা পূরণের জন্য কফিনের বদলে গাড়িতে করে কবর দেয়া হয়েছে এক ব্যক্তিকে। ঘটনাটি ঘটেছে চীনের হেবেই প্রদেশে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিউ নামের ওই চীনা নাগরিক মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছার কথা বলে গেছেন তার কাছের মানুষদের। আর তার সেই শেষ ইচ্ছে ছিল, কফিনের বদলে প্রিয় গাড়ির সাথে নিজেকে কবর দেয়া। অবশেষে রাখা হলো তার শেষ অনুরোধ। প্রিয় গাড়িটাকে কফিন করে তাকে কবর দেয়া হয়। গাড়ির সাথে কবর দেয়ার ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্টও করা হয়েছে।

ছোট থেকেই কিউয়ের গাড়ির শখ ছিল। অনেক বছর ধরে সিলভার-গ্রে রঙের সেডান গাড়ি ব্যবহার করতেন তিনি। অনেক পুরনো হওয়ার কারণে গতিও কমে গিয়েছিল গাড়িটির। কিন্তু দীর্ঘ দিন একসাথে থাকার কারণে কেমন যেন ভালোবেসে ফেলেছিলেন গাড়িটাকে। তাই জীবন হারিয়ে ফেললেও গাড়িটাকে হারাতে চাননি তিনি।

পরিবারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, মৃত্যুর পর তাকে যেন কফিনে কবর না দিয়ে ওই গাড়িটাতে কবর দেয়া হয়। পরিবার তার অনুরোধ রাখে। গাড়ির মাপের বড় কবর খোঁড়া হয়। গাড়িটার ভেতরে শোয়ানো হয় কিউকে। তারপর ক্রেনের সাহায্যে দড়ি বেঁধে আস্তে আস্তে সেখানে গাড়িসহ কবর দেয়া হয় তাকে।

কবর দেয়ার ভিডিওটি ইউটিউবে ভাইরাল হয়েছে। নানা রকমের মন্তব্যও করা হয়েছে ওই ভিডিওর নিচে। একজন লিখেছেন, ‘ভাগ্যিস তিনি বিমান ভালোবাসতেন না’। ইন্টারনেট।

কবর দেয়ার ১১ দিন পর ভেসে এলো মহিলাকে চীৎকার! তারপর…
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
আপনার সবচেয়ে বড় ভয় কী? উত্তরে অনেকেই বলবেন জ্যান্ত কবর দেয়া৷ একাধিক মানুষের সেই দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়ে গেল ব্রাজিলের রোজংলা আলমেদিয়া দোস সান্তোসের ক্ষেত্রে৷ জানা গেছে, ৩৭ বছরের রোজংলাকে মৃত ভেবে কবর দিয়ে দিয়েছিল তার পরিবার৷ টানা ১১ দিন ধরে কংক্রিটের সেই কবর খুঁড়ে বের হবার চেষ্টা করেও হয়নি শেষরক্ষা৷ কবর খুলে দেখা যায় মৃত্যু হয়েছে তার৷ তখনো দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল রোজংলার৷

জানা গেছে, গত মাসে তীব্র ক্লান্তির কারণে রোজংলাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল তার পরিবার৷ প্রায় ৭ দিন হাসপাতলে ভর্তি থাকার পর ২৮ জানুয়ারি চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে৷ রোজাংলার ডেথ সার্টিফিকেট অনুযায়ী, প্রথমে কার্ডিয়াক আরেস্ট এবং তারপর ‘সেপটিক শক’-এ গিয়ে তার মৃত্যু হয়৷ পরের দিন উত্তর ব্রাজিলের রিয়াচও দাস নেভেসের ‘সেনহোরা সানটানা সেমেট্রি’তে কংক্রিটের কফিনে মৃত রোজংলাকে কবর দেয় তার পরিবার৷

জানা গেছে, রোজংলাকে কবর দেয়ার ১১ দিন পর কবরস্থানের কাছাকাছি বসবাসকারী স্থানীয়রা কবরের ভিতর থেকে চিৎকার শুনতে পান৷ সঙ্গে সঙ্গে রোজংলার পরিবারকে খবর দেন তারা৷ কবরস্থানে এসে রোজংলার কফিন ভাঙেন পরিবারের লোকজনেরা৷ তখনও তার গায়ের তাপমাত্রা উষ্ণ ছিল৷ কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে৷ মারা গেছেন তিনি৷

প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কবরস্থান থেকে কয়েকজন ব্যক্তি একটি ভারী কফিন তুলছে৷ তারপর কফিনের ঢাকনা খুলতেই সবাই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন৷ জানা গেছে, রোজংলার হাতে ও মাথায় আঘাত ছিল৷ যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে, কফিন থেকে বের হয়ে আসার প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি৷ কফিনের পেরেকগুলিও উপর দিকে উঠে ছিল৷ কফিনের ভিতরে রক্ত ও আচড়ানোর দাগ ছিল৷

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা নাতালিনা সিলভা বলেন, ‘আমি যখন কবরটির সামনে যায় তখন কবরের ভিতর থেকে আসা আওয়াজ শুনতে পাই৷ আমি ভেবেছিলাম কবরে যেসব বাচ্চারা খেলতে আসে তারা আমার সঙ্গে মজা করছে৷ তারপর আমি তাকে দু’বার আওয়াজ করতে শুনি এবং ওই দু’বার আওয়াজের পর তিনি আর কোনো শব্দ করেননি৷’

রোজংলার মা জারমানা ডে আলমেদিয়া (৬৬) বলেন, ‘সে ঢাকনাটি খোলার প্রাণপন চেষ্টা করেছিল৷ ওর হাতে আঘাত ছিল৷ যেন ও বেড়ানোর চেষ্টা করছিল৷’ পরিবারের বিশ্বাস রোজংলাকে ভুল করে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল৷ এবিষয়ে রোজংলার বোন ইসমারা আলমেদিয়া বলেন, ‘আমরা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইনা৷ আমরা কোন সমস্যা সৃষ্টি করতে চাইনা৷’

তবে পরিবার কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে না চাইলেও মৃত্যুর ১১ দিন পর কারোর দেহের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকতে পারে না৷ এই সত্যটি স্বীকার করে নিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশ আর্নাল্ডো মন্টে৷ ঠিক কী ঘটেছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে যাবতীয় সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন রোজংলাকে মৃত ঘোষণাকারী হাসপাতালের একজন মুখপত্র৷


আরো সংবাদ



premium cement
তৃণমূল সংগঠনের মজবুতির জন্য কাজ করতে হবে : মাওলানা আব্দুল হালিম ‘দেশ ও জাতি দুঃসময় পার করছে’ ওসমানীনগরে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২ সহ-অধিনায়ক হতে পারেন রিজওয়ান মেক্সিকোয় মেয়র প্রার্থী ছুরিকাঘাতে নিহত রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহেও ক্লাস বন্ধ ঘোষণা দেশীয় খেলাকে সমান সুযোগ দিন : প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মিয়া গোলাম পরওয়ার সিংড়ায় প্রতিমন্ত্রীর শ্যালককে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ আ’লীগের চুয়াডাঙ্গায় হিট‌স্ট্রো‌কে যুবকের মৃত্যুর ৭ ঘণ্টা পর নারীর মৃত্যু

সকল