২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সংস্কারপন্থি অংশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটিতে দুই ইউপিডিএফ কর্মী ‍খুন

সংস্কারপন্থি অংশ থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় রাঙামাটিতে দুই ইউপিডিএফ কর্মী ‍খুন - সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থি অংশ থেকে বেরিয়ে কয়েক মাস আগে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফে যোগ দেওয়া দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। 


বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার মহালছড়ির সীমান্তবর্তী রামসুপারি পাড়া এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত আকর্ষণ চাকমা (৪২) ওই এলাকার যুদ্ধ মোহন চাকমার ছেলে। আর শ্যামল কান্তি চাকমা সুমন্ত (৩০) স্থানীয় আদরি পেদা চাকমার ছেলে।

রাতে একদল লোক ওই দুই ইউপিডিএফ কর্মীর বাড়ি গিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করে বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পেরেছে পুলিশ। নানিয়ারচর থানার ওসি আব্দুল লতিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘রামসুপারি পাড়ায় দুই ইউপিডিএফ কর্মীকে গুলি করে হত্যার খবর পেয়ে আমরা ফোর্স পাঠিয়েছি। লাশ এখনও সেখানেই আছে। আমাদের পৌঁছাতে সময় লাগবে; ফিরে এসে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা  বলেন, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে বিষয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না তারা। 

তবে সংগঠনটির একাধিক নেতা বলেছেন, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকেই (এমএন লারমা) সন্দেহ করছেন।

আকর্ষণ চাকমা ও শ্যামল কান্তি চাকমা এক সময় জনসংহতি সমিতির ওই সংস্কারপন্থি অংশে থাকলেও কয়েক মাস আগে দলত্যাগ করে ইউপিডিএফে যোগ দেন। রামসুপারি পাড়া এলাকায় তারা সংগঠনের ‘কালেক্টর’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য।

অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) মুখপাত্র প্রশান্ত চাকমা বলেন, ‘এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটা ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দল হতে পারে।’

আরো পড়ুন : সংঘর্ষের জেরে প্রতিপক্ষের একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লা সংবাদদাতা ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৫৪

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় প্রতিপক্ষের রমিজ উদ্দিন (৫০) নামের একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের ধারণা হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন রমিজ উদ্দিন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত রমিজ উদ্দিন (৫০) দক্ষিণ সিদলাই গ্রামের মঞ্ছুর আলীর ছেলে। তিনি খোরশেদ ও সানু মিয়ার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই গ্রামের মফিজ মিয়ার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সামসু মিয়ার সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মফিজ মিয়া ও সামসু মিয়া দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মফিজ মিয়া নিহত হয়েছিলেন। ওই দিন থেকে সামসু মিয়ার লোকজন এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে সামসু মিয়ার লোকজন বিভিন্ন এলাকার লোকজন নিয়ে মফিজ মিয়ার বাড়িতে আক্রমণ করেন। মফিজ মিয়ার লোকজনও পাল্টা আক্রমণ করেন। এতে সামসু মিয়ার সমর্থিত খোরশেদ আলম ও চা দোকানদার সানু মিয়া মারা যান। দুটি খুনের ঘটনায় থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।


এই ব্যাপারে নিহত রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী ঝরনা আক্তার জানান, প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে রাত জেগে বাড়ি পাহারা দেন রমিজ উদ্দিন। বুধবার ভোরে সামসু মিয়া সমর্থিতদের লোকজন তাকে পিটিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই রমিজ উদ্দিন মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে পূর্বেও দুইজন নিহত হয়েছেন। দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। রমিজ উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তবে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement