২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান অপহরণের অভিযোগ

-

লাকসামে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান কে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাশুড়ী বকুল বেগম বাদী হয়ে মেয়ের জামাতা নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ির বগাদিয়া গ্রামের মৃত.সুরুজ মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন সহ ৫জন কে অভিযুক্ত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার উপজেলার গোবিন্দপুর ইউপির ভাটবাড়ীয়া হাজী বাড়ীতে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই দিন রাতে মেয়ের জামাতা আলমগীর হোসেন, মাতা খোদেজা বেগম, বোন ছালেহা বেগম, সহপাঠি আবদুল মান্নান ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম একটি কালো রংয়ের হাইচ মাক্রোবাস নিয়ে স্ত্রী পিংকি আক্তার ও মেয়ে সাবেকুন নাহার আইমন (৬) কে জোরপুর্বক তুলে নেয়। তাদের চিৎকার শুনে শাশুড়ি বকুল বেগম গতিরোধ করার চেষ্টা চালায়। এসময় মেয়ের জামাতা ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাদেরকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অস্ত্রের আঘাতে শাশুড়ি বকুল বেগম (৫৫), স্ত্রীর ভাই মাইন উদ্দিন, চাচাত ভাই সাহাব উদ্দিন ও সেতারা বেগম গুরুতর আহত হয়।

আহতদের কে লাকসাম হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় শাশুড়ি বকুল বেগম বাদী হয়ে লাকসাম থানায় মেয়ের জামাতাসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।

শাশুড়ি বকুল বেগম আরো জানায়, গত ২০১২সালে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার বগাদিয়া গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেনের সাথে বিয়ে হয় মেয়ে পিংকি আক্তারের। বিয়ের পর তাদের সংসারে সাবেকুন নাহার আইমন (৫) ও তানহা আক্তার আইভি (২) নামে দু’টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। দ্বিতীয় মেয়ের জন্মের পর স্বামী আলমগীর ভরণ-পোষণ দেয়া বন্ধ করে দিয়ে প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন চালাতে থাকে।

স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে সোনাইমুড়ি থানায় গত দুইমাস পুর্বে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় অভিযোগের পর নির্যাতন আরো বেড়ে যাওয়ায় স্বামীর সংসার ছেড়ে দুই কন্যা সন্তান নিয়ে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গত দেড় মাস পর্বে স্ত্রী পিংকি আক্তার তার স্বামীকে তালাক দিয়ে পত্র পাঠিয়ে দেয়।

লাকসাম থানা পুলিশের ওসি মনোজ কুমার দে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। স্ত্রী ও সন্তান উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement