২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

উখিয়ায় চাহিদা দেশি ও মিয়ানমারের গরু ছাগলের

-

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ায় দেশি ও মিয়ানমারের গরু-ছাগলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সোয়া দুই লক্ষ জনতার বসবাস উখিয়ায়। এর উপর আরো প্রায় এগারো লাখের চেয়ে বেশি রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে অবস্থান। সব মিলিয়ে এবার কোরবানির ঈদে গরু-ছাগলের বেচা-বিক্রি জমে উঠেছে। কোরবানির পশুর হাটবাজারগুলোতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রতারা হাটে গরু আনতে শুরু করেছেন।বেচা-বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানালেন গরু ব্যবসায়ী নুরুল আলম। এখনো মিয়ানমারের গরু ট্রাকে ট্রাকে ঢুকতে না পারায় দেশি গরুর খামারিরা বেশ খুশি। তবে দু-একদিনের মধ্যে মিয়ানমারের গরুতে সয়লাব হয়ে যাবে হাট-বাজারগুলো। এখন যে দাম খামারিরা পাচ্ছেন, তা মিয়ানমারের গরু ট্রাকে ট্রাকে আসলেই দাম কমে যাবে। গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমানে যে বাজারমূল্য পাচ্ছি তাতে আমরা লাভবান হচ্ছি। চাহিদার চেয়ে বেশি মিয়ানমারের গরু আসলে তখন আমরা সে বাজারমূল্য পাব না বলে আশঙ্কা করছি। চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পশু দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে জানালেন মিয়ানমার থেকে আনা গরু ব্যবসায়ী সৈয়দ নুর। মরিচ্যা বাজার, রুমখা বাজার, উখিয়া বাজার, কুতুপালং বাজার, বালুখালী বাজার, থাইংখালী গরু বাজার কোরবানির পশুর হাটের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব হাট-বাজারে প্রতিদিন কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি হচ্ছে। ভালুকিয়া পালং এলাকার খামারি সরওয়ার আলম জানান, তিনি আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ৩০ টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এবার উত্তরাঞ্চল থেকেও ভারতীয় গরু নিয়ে আসবেন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। তাছাড়া মিয়ানমারের গরু প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও আসতে শুরু করেছে। তাই আমি গরু ধরে না রেখে এখনই লাভে বিক্রি করে দিচ্ছি। উখিয়ার বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানির হাটগুলোতে এবার গতবারের তুলনায় ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরুর চাহিদা অনেক বেশি। হাটগুলোতে মিয়ানমারের গরুর চাহিদা রয়েছে। হাটে হাটে স্থানীয় ক্রেতারা ছুটছেন ছোট ও মাঝারি আকৃতির দেশি গরু-ছাগলের দিকেই। বড় বড় মিয়ানমারের গরুগুলো ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জন্যে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকজন কিনে নিচ্ছেন। দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে থাকায় এবং দেশীয় খাদ্যে লালন-পালন হওয়ায় ওই সব গরুর প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। পাশাপাশি ঢাকা, চট্রগ্রাম, ও সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলের গরু ব্যবসায়ীরা এবং ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন এ অঞ্চলের হাটগুলোতে। ক্রেতারা আসছেন, পছন্দ করছেন তবে কিনছেন কম। পাইকারি গরু ব্যবসায়ীরাই মূলত গরু কিনছেন বেশি। হাটগুলোতে প্রকারভেদে দেশি গরু ৩৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এখন যে দাম যাচ্ছে তাতে লাভের মুখ দেখছেন না। সব মিলিয়ে পশুর দাম কম বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।আলম,সরওয়ার, ও জাহাঙ্গির নামের কয়েবজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর তুলনায় এবার কোরবানির গরুর দাম কম। ক্রেতারা কম থাকায় গরুর দাম উঠছে না। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, মালিক তার পশুটি ঠিকই কম মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে। দালাল ও ব্যবসায়ীরা সেটি কিনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন উচ্চ মূল্য হাঁকিয়ে। মরিচ্যা গোরাইয়ারদ্বীপ থেকে গরু কিনতে আসা আলা উদ্দিন সিকদার বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম বেশি। গত দুই হাটে ঘুরেও আমার সামর্থের মধ্যে গরু কিনতে পারিনি। অথচ এর চেয়ে কম দামে গত বছর গরু ক্রয় করেছি।


আরো সংবাদ



premium cement