২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টেস্ট না করেই রির্পোট প্রদান, রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন

-

চাটখিলে ডাঃ জেবুন্নেছা হাসপাতালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালে রোগীর মেডিক্যাল টেস্ট না করিয়েই রোগীকে রিপোর্ট প্রদান এবং ভুয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে রোগীকে সিজার করা হয়। এতে রোগীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ১২ জুলাই চাটখিলের পরকোট গ্রামের ভুক্তভোগী শিউলী আক্তারের ভাই পারভেজ আলম রুবেল নোয়াখালী সিভিল সার্জন বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে জানা যায়, তার বোন প্রসব বেদনার ব্যাথা নিয়ে ডাঃ জেবুন্নেছা হাসপাতালে ভর্তি হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনা কারণে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। মূলত কোন পরীক্ষা না করেই ভূয়া রিপোর্ট প্রদান করে। এরপর তাকে সিজার করে। কিন্তু শিউলী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

চাটখিলে ডাঃ জেবুন্নেছা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও মালিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাটখিল বাজার বদলকোট রোড আল-দুবাই মার্কেটে অবস্থিত এ হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা কেলেংকারিতে জড়িত। এর মালিক নূর মোহাম্মদ হান্নান নিজেই বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত।

প্রতিষ্ঠাকালীন হাসপাতালটির নাম ছিল ডায়াবেটিস হাসপাতাল। আবাসিক ডাক্তার ছিলেন জেবুন্নেছা। তখন নূর মোহাম্মদ হান্নান হাসপাতালের ম্যানেজার ছিলেন। এই সুযোগে হান্নান ডাঃ জেবুন্নেছার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অবশেষে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাসপাতালের নাম পরিবর্তন করে ডাঃ জেবুন্নেছা নামকরণ করেন।

অপচিকিৎসার অভিযোগে ভুক্তভোগী জনতা বেশ কয়েকবার হাসপাতালে হামলা করে। কিছুদিন আগে ডাঃ জেবুন্নেছার অশ্লীল ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement