২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

মাটি মেশানো পাথর দিয়েই সেতু নির্মান

-

পাথর না মাটির স্তুপ তা বুঝা মুশকিল। সিমেন্টও নিম্ন মানের। আর এমন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-তালশহর সড়কে আলমনগরে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সীমানা থেকে মাত্র প্রায় ৩০মিটার দূরত্বে এই কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কোন তদারকি ছাড়াই এই সেতু নির্মাণ কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক অবগত আছেন।
জানা যায় আশুগঞ্জ উপজেলা ৫টি ইউনিয়ন এই সড়কটি দিয়ে তালশহর,শরীফপুর,তারুয়া,লালপুর ও আড়াইসিধা ইউনিয়ন এবং নবীনগর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে প্রতিদিন। এছাড়া সড়কটি দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা সদরের মানুষজন ছাড়াও যাত্রীবাহি বিভিন্ন যানবাহন চলাচলের কমতি নেই এই সড়কে। এছাড়া রাইস মিলসহ বিভিন্ন কারখানা থাকায় এই পথে প্রতিনিয়ত মালামাল বোঝাই ট্রাকের চলাচল রয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলা সদরে যাওয়ার বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই সড়ক।
এমন গুরুত্বপূর্ন সড়কে সেতুটি এভাবে নির্মাণ করায় এর স্থায়ীত্ব নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ বলেন পাথর নামের মাটি দিয়ে সেতুর স্ল্যাব (ওপরিয়াংশ) ও বিভিন্ন অংশের ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজের সাইডে পাথরের যে স্তুপ দেখা গেছে এর উপরে ৫/৬ ইঞ্চি পাথর ছাড়া বাকী ৭০ ভাগই ছিল মাটি। সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে কম দামের। ঢালাই এক দিনে দেয়ার কথা থাকলেও ৬/৭ দিনে তারা এই কাজ করেছে।
২ মাসের কাজ ৮ মাস গড়িয়েছে। এর আগে সাটারিং নি¤œমানের হওয়ায় সেটিও ভেঙ্গে পড়ে। ২/৪ বছর এই ব্রীজ টিকবে কিনা আমার সন্দেহ আছে। তিনি আরও বলেন সরকার টাকা দেবে। আর তারা এখানে লুটপাট করে আমাদের বিপদ ঘটাবে। এসময় জেলা প্রশাসক বিষয়টি দেখার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিবার্হী প্রকৌশলিকে নির্দেশ দেন। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী জিন্নাহ ঠিকাদার সাথে যোগসাজন করে নিজেই এই কাজ করছেন। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন।
আশুগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র জানায় ২০ মিটার লম্বা এই সেতু নির্মাণে কাজটি করছে মোজাহার এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ৯০ লাখ টাকার এই কাজ শুরু হয় ৪ মাস আগে। তবে অভিযোগে বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলী জিন্নাহ জানান কাজের ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। তার দাবি কাজ অনেক সুন্দর কাজ হয়েছে । চোখ দিয়ে দেখলেই সেটা বুঝা যায়। টাইম টু টাইম কাজ দেখেছেন বলেও দাবি করেন উপজেলা প্রকৌশলী।
তবে এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নিবাহী অফিসার মৌসুমি বাইন হীরা জানান বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। এছাড়া সেতু নির্মাণ কাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছবির ক্যাপশন: পাথর না মাটির স্তুপ তা বুঝা মুশকিল। সিমেন্টও নিম্নমানের। আর এমন নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-তালশহর সড়কে আলমনগরে একটি সেতুর নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement