২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধুকে গলা টিপে হত্যা

-

লক্ষ্মীপুরে যৌতুকের দাবীকৃত টাকা না দেয়ায় কামরুন্নাহার নামের গৃহবধুকে পিটিয়ে ও গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ীর বিরুদ্ধে। নিহত কামরুন্নাহার সদর উপজেলা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ের পালেরহাট এলাকার প্রবাসী আবুল হাসনাতের মেয়ে। সোমবার সকালে নিহতের নিজ এলাকায় জানাযা শেষে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ী পলাতক রয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, শনিবার ঈদের দিন সকালে নিহত কামরুন্নাহারকে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় (নাজমা মঞ্জিল) শ্বশুর বাড়ীতে শারিরীক নির্যাতনসহ বেধম মারধর করে স্বামী সোহরাব, শ্বশুর তোফায়েল ও শাশুড়ী নাজমা বেগম। এক পর্যায়ে নিজেরাই মুমূর্ষূ অবস্থায় তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে নিহতের লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ী।
নিহতের খালা শিল্পি জানান, গত দু বছর আগে সোহরাবের সাথে কামরুন্নাহারের কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এক বছর পর একটি ছেলে সন্তান আসে তাদের ঘরে। এর পর থেকে যৌতুক দাবী করে আসছে সোহরাব হোসেন। যৌতুক না দেয়ায় বিভিন্ন সময় শারিরীক নির্যাতন করতো এবং সর্বশেষ গত ১৮ রমজান ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে সে। ঈদের আগে ১২ হাজার টাকা ঈদ সালামি ও সেমাই চিনিসহ বিভিন্ন ঈদ সামগ্রী দেয়া হয়েছে বলে জানান খালা। অথচ দাবীকৃত ওই টাকা না দেয়ায় ঈদের দিন স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ী মিলে গলা টিপে ও বেধম মারধর করে। হাসপাতালে নেয়ার পর সে মারা যায়। এদিকে নিহত কামরুন্নাহারের নাম গোপন রেখে হাসপাতালে ফারিহা উল্ল্যেখ করে ভর্তি করে স্বামী সোহরাব। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায় তারা।
ঘটনাস্থল (নাজমা মঞ্জিল) পরিদর্শন করে লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক গনেশ চন্দ্র শীল জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকান্ড। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement