২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের বরণে প্রস্তুত ইনানী সমুদ্র সৈকত

ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের বরণে প্রস্তুত ইনানী সমুদ্র সৈকত - ছবি : নয়া দিগন্ত

ঈদের ছুটি মানে আনন্দ উপভোগ। আর এই আনন্দে ভিন্ন আমেজ যোগ করে ভ্রমণ। প্রতিবছরই ভ্রমণপিপাসুদের আগ্রহের জায়গা বিশ্বের দীঘতম কক্সবাজারের নয়নাভিরাম সমুদ্র সৈকত।এবারো তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাথুরে গাথা ইনানী সমুদ্র সৈকতে শিশুদের আনন্দ যেন শেষ নেই। এই ভরা বষায় ঈদের দিনে বৃষ্টি না হওয়ায় মহা আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিশু-কিশোর ও ভ্রমণ পিপাসুরা।

একদিকে পাথুরে গাথা বিশাল পানিরাশির সমুদ্রের ঢেউ, অন্যদিকে পাহাড় ঘেষা কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ইনানী সমুদ্র সৈকতকে করেছে অপরুপ। পাহাড়-সমুদ্রের মিতালী আর সাথে গাঁয়ের ছোট ছোট ঘর, তার মাঝে বিশাল সুপারি বাগান মনোমুগ্ধকর সৌন্দয আর সারি সারি পাথুরে স্তুপ ভ্রমণ পিপাসুদের টেনে আনে বারবার। দেশ-বিদেশ থেকে যারা কক্সবাজারে বেড়াতে এসে যারা আরেকটু কষ্ট স্বীকার করেন তারা ছুটে যান নয়নাভিরাম ইনানী সমুদ্র সৈকতে।

শিশু সন্তান নিয়ে বেড়াতে আসা টেকনাফ ডিজিটাল হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভাক্কা বলেন, ইনানী সুদ্র সৈকতের সৌন্দযই আলাদা। এ ছাড়া ঈদ ভ্রমণে ইনানীতে আসা পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে, কানা রাজার গুহা, ফাইভ স্টার মানের হোটেল টিউলিপ ও এর আশপাশের বিশাল সবুজে ঘেরা পাহাড় ও হিমছড়ির ঝর্ণাসহ নানা ধরনের পর্যটন স্থান। ভ্রমণ পিপাসুদের বরণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন পযটন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পযটন এলাকা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র সৈকতসহ পুরো জেলায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাজানো হয়েছে নানা আকষণীয় সাজে। হোটেল-মোটেলগুলো প্রায় বুকিং হয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেছেন, প্রতিবছর ঈদের ছুটিসহ নানা ছুটিতে ব্যাপক সংখ্যক পযটকের ভিড় হয় কক্সবাজারে। বৃষ্টির মৌসুম হলেও ইতিমধ্যে অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

কক্সবাজারে আসা পর্যটকদের সেবা দিতে সব ধরনের প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের হোটেল লং বিচ-এর হেড অব অপারেশন মোহাম্মদ তারেক বলেন, এবারের মৌসুমটা বৃষ্টির দখলে। এর পরও ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের ভ্রমণ বেশ ভালো হবে। আমাদের হোটেলের প্রায় সব রুম বুকিং হয়ে গেছে।

হোটেল সী গালের ম্যানেজার নুর এ আলম মিথুন বলেন, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্যে এবার নতুন করে হোটেলকে সাজানো হয়েছে। আশা করছি পরিস্থিতি ভালো থাকলে হোটেল ব্যবসা ভালো হবে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, কক্সবাজারের ৪ শতাধিক হোটেল মোটেল, কটেজ ও আবাসিক হোটেল রয়েছে। সবকটি হোটেলে এবারের ঈদে বুকিং হওয়ার খবর রয়েছে।আশা করছি বৃষ্টি হলেও পযটকরা আসবে। এ ক্ষেত্রে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলেন, পযটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা পযাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। সমুদ্র সৈকত এলাকায় শতাধিক পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ছিনতাই প্রতিরোধে টহল পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। কন্টোল রুমসহ পুরো সৈকত পুলিশের নজরদারিতে থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement