২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কিশোরগঞ্জে কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩

কিশোরগঞ্জে কিশোরী গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ৩। -

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক কিশোরীকে (১৫) পাকুন্দিয়ায় এনে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত প্রেমিক বাদশা মিয়া ও তার দুই বন্ধু এরশাদ ও রুস্তমকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। ভিকটিম কিশোরীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের পিতা  বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে পাকুন্দিয়া থানায় মঙ্গলবার দুপুরে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১১। আসামিরা হচ্ছে, পাকুন্দিয়া উপজেলার শালংকা গ্রামের বাদশা মিয়া (২৫), এরশাদ(২৫), রুস্তুম (২১), নাছিম (২২) ও ছোটআজলদী গ্রামের মামুন মিয়া (৩০)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক মাস আগে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মারিয়া গ্রামের কিশোরী কন্যার সাথে পাকুন্দিয়া উপজেলার শালংকা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব এর ছেলে বাদশা মিয়ার মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে প্রেমিক বাদশা মিয়া ওই কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দেয় এবং পাকুন্দিয়ায় আসতে বলে। এতে প্রলুব্ধ হয়ে ওই কিশোরী গত ১০ জুন বিকেল পাঁচটার দিকে সেলাই মেশিনের উপকরণ কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বাদশা মিয়া ওই কিশোরীকে পাকুন্দিয়া বাজারে এনে বিয়ের জন্য কসমেটিকস ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনার অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে। পরে রাত পৌনে ১১ টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাদশা মিয়া ওই কিশোরীকে নিয়ে ছোট আজলদী গ্রামের ঈদগাহ্ মাঠের উত্তর পাশে রেনু মিয়ার কলা ক্ষেতে নিয়ে যায়। ওই স্থানে পূর্ব থেকে বাদশা মিয়ার বন্ধু একই এলাকার এরশাদ, রুস্তুম, নাছিম ও মামুন অবস্থান করছিল। এ সময় বাদশা মিয়া তার বন্ধুদের সহায়তায় ওড়না দিয়ে ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে ফেলে এবং ছুরা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। প্রথমে বাদশা মিয়া তাকে ধর্ষণ করে। পরে পর্যায়ক্রমে এরশাদ, রুস্তুম, নাছিম ও মামুন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভোর তিনটার দিকে ওই কিশোরীকে কলা ক্ষেতে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারিরা। ধর্ষিতা হেঁটে ভোর পৌনে চারটার দিকে পার্শ্ববর্তী পুলেরঘাট বাজারে যায়। সেখানে বাজারের পাহাড়াদারকে ঘটনা খুলে বলে। পাহাড়াদার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহাদাতের হাতে ওই কিশোরীকে তুলে দেয়। ইউ পি সদস্য বিষয়টি ওই কিশোরীর ভগ্নিপতি শাহিনকে মুঠোফোনে জানায়। ইউপি সদস্য ওই কিশোরীকে নিয়ে চৌদ্দশত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোকা মিয়ার বাড়িতে যায়। সংবাদ পেয়ে ধর্ষিতার পিতা মেয়ের জামাই ও ছেলেকে নিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement