১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চাকুরিচ্যুত পুলিশের জমজমাট ইয়াবা ব্যবসা

আটককৃত মোটরসাইকেল, (ইনসেটে) বাছির আহম্মদ। ছবি - নয়া দিগন্ত।

দেশব্যাপী মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর পুলিশি অভিযান সত্ত্বেও কর্মকাণ্ড থেমে নেই চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নের রায়েরবাগ গ্রামের নজিবুর রহমানের ছেলে উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী চাকুরিচ্যুত পুলিশ সদস্য বাছির আহম্মদের।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর চট্রগ্রাম হতে কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারকালে তৎকালীন চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কনস্টেবল বাছির আহম্মদকে ১ হাজার ৫৯৫ পিছ ইয়াবাসহ আটক করে চকরিয়া থানা পুলিশ। ওইদিন গভীর রাতে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালি চেকপোস্টে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে বাছির ও তার অপর সহযোগিকে আটক করা হয়। ওই ঘটনায় বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত ও পরে চাকুরিচ্যুত করা হলে সে এলাকায় এসে পুরাদমে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তার নেতৃত্বে ওই এলাকার কসবা গ্রামের মৃতঃ ইলিয়াসের পুত্র মানিক (৪২), মৃতঃ মাহবুবুল আলমের পুত্র আঃ করিম (৩০), চিতোষী গ্রামের মোঃ খোকার পুত্র বেলাল (২৩), ইমাম হোসেন লাতুর পুত্র মোহাব্বত (২৮), চান্দল গ্রামের আঃ মান্নানের পুত্র খোরশেদ আলম (৪৭), নোয়াবাড়ির রুহুল আমিনের পুত্র মুন্না (২৭) ও সোনারগাঁ গ্রামের মান্নান মুন্সীর পুত্র বাবুকে (২৫) নিয়ে গড়ে তোলে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।

কুমিল্লা হতে চাঁদপুর, নোয়াখালি ও লক্ষ্মীপুর জেলায় মাদক সরবরাহের নিরাপদ রুট হিসেবে গড়ে উঠে মুদাফফরগঞ্জ-চিতোষী সড়ক। উপজেলা সদর হতে দুরে হওয়ায় নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে বাছির। মাদকের সাথে যুক্ত হয় চোরাই মোটর সাইকেলের ব্যবসা। বাছির নিজেই পুলিশ পরিচয় দিয়ে শুরু করে নানা অপকর্ম। চোরাই মোটর সাইকেলে পুলিশ স্টীকার লাগিয়ে সদর্পে ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে সে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার লোকজন জানান, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়িদের ধরতে পুলিশ বেশ ক’বার অভিযান চালিয়েছে যা শুভংকরের ফাঁকি বলে মনে হচ্ছে। কারণ শষ্যের ভেতরেই ভূত রয়েছে।

উঘারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, এ অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ির তালিকায় বাছিরের নাম রয়েছে। আমরা বেশ ক’বার অভিযান চালিয়ে তাকে ধরতে পারিনি। এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির সম্মুখ থেকে একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়েছে। যেহেতু সেটির এখনো কোন সঠিক মালিকের সন্ধান পাইনি তাই বিষয়টি থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেছি। পরবর্তীতে গাড়িটির বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাছিরসহ মাদকের সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল