২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৯ শতাংশ ; মূলধন বেড়েছে সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা

-

দৈনিক লেনদেনের সঙ্গে পতনের ধারা কাটিয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরেছে সাপ্তাহিক পুঁজিবাজারও। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে চার কার্য দিবসেই উত্থান হয়। এতে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া চার কার্য দিবসেই বড় উত্থানে বেড়েছে সব ক’টি মূল্যসূচক। গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ। একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধনও। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে ফিরে পেয়েছেন। সেই সঙ্গে বড় উত্থান হয়েছে মূল্যসূচকের। গতি ফিরেছে লেনদেনেও।
ঊর্ধ্বমুখী বাজারে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২৩টির। অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটির দাম। অর্থাৎ সপ্তাহজুড়ে ৯২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার কারণে সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৯ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্য দিবসে ছিল তিন লাখ ১৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২৫ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম এক সপ্তাহে ২৫ হাজার ৫৯৯ কোটি টাকা বেড়েছে। এ দিক থেকে বিবেচনা করেলে বড় উত্থানের কারণে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে ফিরে পেয়েছেন।
বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে আসার সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩৬৪ দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্ট বা আট দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৪৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৩ শতাংশ।
প্রধান মূল্যসূচকের সঙ্গে বড় উত্থান হয়েছে ডিএসইর বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকেরও। গত সপ্তাহে এ সূচকটি বেড়েছে ১৩৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি দশমিক ২২ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বাড়ে। ডিএসইর অপর মূল্যসূচক ডিএসই শরিয়াহ্ বেড়েছে ৯৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে পাঁচ দশমিক ৬২ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৯ শতাংশ।
এ দিকে ঊর্ধ্বমুখী বাজারে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কার্য দিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। তার আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ২৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্য দিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৮৯ কোটি এক লাখ টাকা বা ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় এক হাজার ৩২০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৯৪৫ কোটি পাঁচ লাখ টাকা বা ৭১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে ‘এ’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৭৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া ‘বি’ গ্রুপের অবদান ১২ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের অবদান সাত দশমিক ৭৭ শতাংশ।
টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৮৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের চার দশমিক ৬২ শতাংশ। ৬৭ কোটি ৯১ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসএস স্টিল। লেনদেনে এরপর রয়েছে- খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, গ্রামীণফোন, বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, সিঙ্গার বাংলাদেশ, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, এডিএন টেলিকম এবং এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ১৬৫ কোটি ৫৯ লাখ ৬ হাজার ১১৭ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৬ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১১০ কোটি ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৫৪১ টাকা বা ২০০ শতাশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৪৩ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ০৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭৪৪ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসসিএক্স ৭০২ পয়েন্ট বা ৯.২০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৯৯৮ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ১৮, সিএসই-৫০ সূচক ৯১ পয়েন্ট বা ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং সিএসআই ৮৫ পয়েন্ট বা ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৭ পয়েন্ট, ১১ হাজার ৮৬৪ পয়েন্ট, ১ হাজার ১৬ পয়েন্ট এবং ৮৮৭ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৫টির বা ৮৭ শতাংশ, দর কমেছে ২৭টির বা ৯ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির বা ৪ শতাংশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান আমরা একটা পরাধীন জাতিতে পরিণত হয়েছি : মেজর হাফিজ তরুণীর লাশ উদ্ধারের পর প্রেমিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা ভিয়েনায় মুসলিম বিশ্বের রাষ্ট্রদূতদের ইফতারে ইসলামিক রিলিজিয়াস অথোরিটি আমন্ত্রিত এবার বাজারে এলো শাওমির তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি সকল কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার অনুভূতি থাকতে হবে : মাওলানা হালিম বিএনপি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি করে : ড. মঈন খান সাজেকে পাহাড়ি খাদে পড়ে মাহিন্দ্রচালক নিহত

সকল