২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

অনলাইন ভ্যাট ও হিসাবরক্ষণ সহজীকরণ চান ব্যবসায়ীরা

-

অনলাইনভিত্তিক ভ্যাট ব্যবস্থা ও হিসাবরক্ষণ সহজীকরণ চান আয়রন অ্যান্ড স্টিল ব্যবসায়ীরা। গতকাল মঙ্গলবার বংশালের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন এ দাবি জানায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) দিতে চান, কিন্তু হয়রানি ও নানা বিড়ম্বনার কারণে এ ভ্যাট প্রদান অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ব্যবসায়ীরা যাতে সহজভাবে আরোপিত ভ্যাট প্রদান করতে পারে এ জন্য আইন সহজ ও হিসাবরক্ষণ সহজ করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু জর গিফারী জুয়েল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রতি মাসে প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন লৌহজাত দ্রব্য আমদানি করে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকি। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইন অনুযায়ী বিন ছাড়া কারো কাছে পণ্য বিক্রি করা যাবে না। বর্তমানে বিন নম্বর আছে মাত্র দেড় লাখ ব্যবসায়ীর। বর্তমানে ১ শতাংশ লোকেরও বিন নম্বর নাই। ফলে আমদানিকৃত লাখ লাখ টন পণ্য বিক্রি করতে না পারায় নতুনভাবে আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব। এ ছাড়া ভ্যাট আইন অনুযায়ী সরবরাহ মূল্য ১ লাখের বেশি হলে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে মূূল্য পরিশোধের বিধান রয়েছে। অন্যথায় রেয়াত গ্রহণ করা যাবে না। যেখানে ৯৯ শতাংশ লেনদেন বাকিতে হয়ে থাকে এ ছাড়াও ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নগদেও হয়ে থাকে। সেখানে কিভাবে সব লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ করা সম্ভব।
সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসিরউল্লাহ বলেন, লৌহ ব্যবসায়ীদের টার্নওভার বেশি হলেও লাভ সীমিত। এ ক্ষেত্রে আমদানিপর্যায়ে ভ্যাট ও অগ্রিম ট্রেড ভ্যাট দেয়ার পর ট্রেডিং পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা খুবই হতাশাব্যঞ্জক। বর্তমানে ১ টন মালের দাম প্রায় ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা, সেখানে মূল্য সংযোজন হয় মাত্র ১ থেকে ২ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন ভ্যাট আইনে ৫ শতাংশ হারে প্রদেয় ভ্যাট হয় ৫ হাজার টাকা। আমরা কিভাবে এই ভ্যাট দেবো? খুচরা পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ভিত্তিতে টনপ্রতি একশত টাকা ভ্যাট নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।
সিনিয়র সহসভাপতি আমীর হোসেন নূরানী বলেন, রেয়াত গ্রহণ করতে হলে বিভিন্ন হিসাবপত্র (৪.৩, ৬.১, ৬.২, ৬.৩, ৬.১০, ৯.১) সংরক্ষণ করতে হয় এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধারা ও বিধির সমন্বয় করতে হয়। এই আইনের বিভিন্ন ধারা ও বিধান অনুযায়ী যথাযথভাবে হিসাবপত্র পরিপালন করা একজন সাধারণ ব্যবসায়ীর পক্ষে প্রায় অসম্ভব। প্রতিটি সার্কেল থেকে ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ভ্যাট আইন প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় সার্কেলের মূসক কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে বেপরোয়াভাবে খোলা বাজারে আমদানিকৃত মাল প্রক্রিয়াকরণ না করে বিক্রি করছে। এটি বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেরানীগঞ্জ সিট ব্যবসায়ী সাধারণ সম্পাদক মো: সেলিম, কোষাধ্যক্ষ- মো: সেলিম স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- কাজী মশিউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- মো: জুনায়েদ ইবনে আলী, আবুল কাসেম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement