১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বেশির ভাগ কোম্পানির আয় কমেছে

প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি মার্কেটে সার্কিট ব্রেকার
-

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আয় কমেছে। গত সপ্তাহে কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের আয় পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা যায়। এ তালিকায় যেমন ছিল ভালো কোম্পানি হিসেবে ব্লুচিপস কোম্পানিগুলো তেমনি ছিল সাধারণ কোম্পানিগুলোও। বাজারসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, পুঁজিবাজারে চলমান মন্দায় কোম্পানিগুলোর শেয়ারপ্রতি মুনাফাও এ মুহূর্তে বড় ভূমিকা রাখছে।
গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ৫০টি কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের মুনাফা পর্যালোচনা করে দেখা যায় কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৬টির আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৪টি কোম্পানির। আয় হ্রাস পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ছিল টেক্সটাইল, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি ও খাদ্য খাত। আয়ে ধস নেমেছে সিমেন্ট খাতেও।
এ সময় এসিআই, স্কয়ার, অ্যাপেক্স ও বেক্সিমকো গ্রুপের মতো প্রধান প্রধান শিল্পগ্রুপগুলোও বিগত অর্থবছরের একই সময়ের আয় ধরে রাখতে পারেনি। এসিআই গ্রুপের দুই কোম্পানি এসিআই লিমিটেড ও এসিআই ফরমুলেশন দু’টি কোম্পানির আয়ই বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। এর মধ্যে এসিআই লিমিটেড প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান দিয়েছে ৫.৯৯ টাকা। আগের বছর একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৫.২৪ টাকা। অন্য দিকে এসি আই ফরমুলেশন প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় করেছে ১৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ৩৯ পয়সা।
স্কয়ার গ্রুপের স্কয়ার ফার্মার শেয়ারপ্রতি আয় কিছুটা বাড়লেও কমেছে স্কয়ার টেক্সটাইলের। আগের বছরের একই সময়ের দশমিক ৬৯ টাকার স্থলে এবার প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় দেখিয়েছে দশমিক ৪১ টাকা। অ্যাপেক্স গ্রুপের তিনটি কোম্পানি অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, অ্যাপেক্স স্পিনিং ও অ্যাপেক্স ফুড আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় হ্রাস পেয়েছে। বেক্সিমকো গ্রুপের বেক্সিমকো ফার্মার আয় বাড়লেও কমেছে বেক্সিমকো লিমিটেডের।
এ দিকে পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি ও প্রাইমারি মার্কেটে নতুন করে সার্কিট ব্রেকার আসছে। শেয়ারদর কত পর্যন্ত বাড়তে পারবে বা কমতে পারবে তার একটি সীমা নির্ধারিত থাকে। আর এই সীমাকে সার্কিট ব্রেকার বলে। পুঁজিবাজারে চালু করা হবে নতুন সার্কিট ব্রেকার। সেকেন্ডারি এবং প্রাইমারি মার্কেটের (আইপিও) জন্য নতুন সার্কিট ব্রেকার নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে এক নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি।
সূত্র মতে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী সার্কিট ব্রেকার দেয়ার জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশ দিয়েছে তারা। নতুন নির্দেশনা অনুসারে সেকেন্ডারি মার্কেটে শেয়ারদর ২০০ টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার হবে ১০ শতাংশ। অর্থাৎ যেসব সিকিউরিটিজের দর ২০০ টাকা সেগুলোর দর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে বা কমতে পারবে। এ ছাড়া ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত যেসব সিকিউরিটিজের দর রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে। ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার শেয়ার দরের কোম্পানিগুলোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া ১০০০-২০০০ পর্যন্ত ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশ কার্যকর হবে। যেসব শেয়ারদর ৫০০০ টাকার ঊর্ধ্বে সেগুলোর জন্য সার্কিট ব্রেকার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কার্যকর হবে।
এ ছাড়া প্রথমবারের মতো প্রাইমারি মার্কেট থেকে অর্থাৎ আইপিওর কোম্পানির স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেনের প্রথম দিনে ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ প্রথম দিন শেয়ারের অভিহিত বা আইপিও মূল্যের ৫০ শতাংশের বেশি দর বাড়তে পারবে না। এ ছাড়া দ্বিতীয় দিনে সার্কিট ব্রেকার হবে আগের দিনের শেয়ারদরের ৫০ শতাংশ। তৃতীয় দিন থেকে থপুঁজিবাজারের অন্যান্য কোম্পানির মতো সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল