২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

তিন দিনের ব্যবধানে ফের বড় ধস পুঁজিবাজারে আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে পুঁজিবাজার সূচক

-

পতনই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়াড়িয়েছে পুঁজিবাজারের। চরম আস্থাহীনতায় ধুঁকতে থাকা পুঁজিবাজার মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে আবারো বড় ধরনের ধসের মুখে পড়েছে। গতকাল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সূচকের প্রায় ১০০ পয়েন্ট হারিয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই হারিয়েছে প্রধান সূচকটির ৩০৯ পয়েন্ট। আর এভাবে দুই পুঁজিবাজার সূচক নেমে এসেছে বিগত আড়াই বছরের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থানে। এর আগে গত ১৫ জুলাই দুই পুঁজিবাজার ৯০ ও ২৬১ পয়েন্ট সূচক হারায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৯৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট হারায়। ৫ হাজার ১৩০ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা সূচকটি রোববার দিনশেষে নেমে আসে ৫ হাজার ৩৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। একই সময় ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ হারায় ৩০ দশমিক ১৫ ও ১৮ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচকটি হ্রাস পায় ৩০৮ পয়েন্ট। এখানে সিএসসিএক্স ও সিএসই শরিয়াহ হারায় ১৯ ও ২০ পয়েন্ট।
গত ১৫ জুলাই বড় ধরনের দরপতনের শিকার হয় দেশের দুই পুঁজিবাজার। এর পর দু’দিন বাজারগুলোতে পতন থামলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে বাজারে। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা ছিল বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু তাদের এ প্রত্যাশার বিপরীত আচরণ করে পুঁজিবাজার। রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসটি শুরু হতেই প্রচণ্ড বিক্রয়চাপের শিকার হয় দুই পুঁজিবাজার। প্রথম তিন মিনিটের মধ্যেই ৩০ পয়েন্ট সূচক হারায় ডিএসই। শুরুতেই বাজারের এ আচরণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্কের জন্ম দেয়। আরো তীব্র আকার ধারণ করে বিক্রয়চাপ।
৫ হাজার ১৩০ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট থেকে যাত্রা করা ডিএসইএক্স সূচকটি প্রথমে ৫ হাজার ১৫৫ পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করলেও মাত্র এক মিনিটের মধ্যে তা নেমে আসে ৫ হাজার ১২৫ পয়েন্টে। এরপর বিক্রয়চাপ আরো ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রচণ্ড দরপতনের শিকার হতে থাকে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলো। ফলস্বরূপ ব্যাপকভাবে অবনতি ঘটতে থাকে বাজার সূচকের। দিনের বাকি সময় এ চাপ অব্যাহত থাকলে এ পর্যায়ে সূচক নেমে আসে ৫ হাজার ২৬ পয়েন্টে। এ পর্যায়ে ডিএসই সূচকের অবনতি ঘটে ১০৪ পয়েন্ট। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের পর ডিএসই সূচক আর এ পর্যায়ে নামেনি। তবে শেষ কয়েক মিনিটে হারানো সূচকের মাত্র কয়েক পয়েন্ট ফিরে পায় বাজারটি। দিনশেষে ৯৬ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ৩৩ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে স্থির হয় সূচক।
গতকাল লেনদেনের প্রথমদিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এ পতন সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তিতে তা অন্যান্য খাতেও ছড়িয়ে পড়ে। কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল মিউচুয়াল ফান্ড ও বীমা খাত। যেখানে অন্য খাতগুলোর প্রায় শতভাগ কোম্পানি দর হারায় সেখানে মিউচুয়াল ফান্ডের বেশির ভাগ ছিল মূল্যবৃদ্ধির তালিকায়। বীমা খাতের আচরণ ছিল মিশ্র। দিনশেষে দুই পুঁজিবাজারে দরপতনের শিকার ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ কোম্পানি। ঢাকায় লেনদেন হওয়া ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৬১টির মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ২৭৩টি। অপরিবর্তিত ছিল ১৮টির দর। অপরদিকে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে রেনদেন হওয়া ২৮৪টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ৪২টির দাম বাড়ে, ২৩১টির দাম কমে এবং ১১টি সিকিউরিটিজের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
গতকাল বিভিন্ন ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্রেডিং হাউজগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের একটি বড় অংশের মাথায় হাত পড়েছে। কেন এভাবে বাজারের পতন ঘটছে সে সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণাই নেই। এ ছাড়া ক’দিন আগেও বাজারের পতনে তাদের মধ্যে বিক্ষুদ্ধ ভাব দেখা গেলেও গতকাল তেমনটি দেখা যায়নি। এ যেন ‘অধিক শোকে পাথর’ হওয়ার মতো। মূলধনের প্রায় পুরোটাই এ মুহূর্তে ঝুঁকিতে থাকায় তারা অনেকটা নির্বাক। এমনকি বাজার নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতেও অনীহা প্রকাশ করেন তারা। দু-একজনের মন্তব্য ছিল সরকার ইচ্ছা করলে বাজার বন্ধ করে দিতে পারে। এতে মানুষ লোকসানের শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

সকল