ডিএসই-৩০ সূচক থেকে বাদ ৫ কোম্পানি পুঁজিবাজারে ওঠানামার খেলা
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০
টানা পতনের পর পুঁজিবাজারে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী আচরণ তিনদিনও ঠিকলো না। দু’দিন কিছুটা ভালো কাটিয়ে ফের পতনের ধারায় ফিরেছে দেশের দুই পুঁজিবাজার। গতকাল দিনশেষে দুই বাজারই কমবেশি সূচক হারায়। দিনের শুরুটা ভালো হলেও মাঝখানে বিক্রয়চাপের মুখে পড়ে দুই বাজার। চলতে থাকে সূচকের ওঠানামা। দিনশেষে পতন ঘটে দুই পুঁজিবাজার সূচকের।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট হ্রাস পায়। ৫ হাজার ১৩৩ দশমিক ১৪ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা সূচকটি গতকাল দিনশেষে নেমে আসে ৫ হাজার ১৩০ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে। এ সময় ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচক হারায় দশমিক ৪৫ ও দশমিক ৭৪ পযেন্ট। এর আগে গত দু’দিনে ডিএসইর প্রধান সূচকটির ৪০ পয়েন্টের বেশি উন্নতি ঘটলেও তারও আগে টানা ৩০০ পয়েন্ট পতন ঘটে। দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের অবনতি ঘটে ৫ দশমিক ৮২ ও ১ দশমিক ১২ পয়েন্ট।
সূচকের অবনতি ঘটলেও গতকাল ঢাকা শেয়ারবাজারে লেনদেনের উন্নতি ঘটে। ডিএসই গতকাল ৩৯৫ কোটি টাকার লেনদেন নিষ্পত্তি করে যা আগের দিন অপেক্ষা ৮৬ কোটি টাকা বেশি। গত বুধবার বাজারটির লেনদেন ছিল ৩০৯ কোটি টাকা। তবে লেনদেন কমেছে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে। এখানে ৩০ কোটি টাকা থেকে ১৬ কোটিতে নামে লেনদেন।
গতকাল সকালে সূচকের উন্নতি দিয়েই দিন শুরু করে দুই পুঁজিবাজার। ঢাকা শেয়ারবাজারে ডিএসইএক্স সূচকটি ৫ হাজার ১৩৩ দশমিক ১৪ পয়েন্ট থেকে যাত্রা করে প্রথম দিকে ৫ হাজার ১৪৮ পয়েন্টে পৌঁছে যায়। সূচকের এ অবস্থান থেকে শুরু হয় বিক্রয়চাপ। বেলা সোয় ১১টায় ডিএসই সূচক নেমে আসে ৫ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। এ সময় সূচকের ৫ পয়েন্ট হারায় ডিএসই। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চাপ সামলে নিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হয় বাজার সূচক। কিন্তু দিনের শেষভাগে ফের বিক্রয়চাপ শুরু হলে বাজার পরিস্থিতির অবনতি ঘটে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় সূচকের ওঠানামা চলতে দেখা যায়। পরে সূচকের ২ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ করে ডিএসই।
এ দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্লুচিপ কোম্পানি নিয়ে গড়া সূচক ডিএসই-৩০ থেকে বাদ পড়েছে পাঁচ কোম্পানি। ব্লুচিপ সূচকে থাকার শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ এ পাঁচ কোম্পানি হলো পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড, আরএকে সিরামিকস (বিডি) লিমিটেড এবং এসিআই লিমিটেড। অন্য দিকে পাঁচ কোম্পানি এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ডিএসই।
জানা যায়, ডিএসই প্রতি প্রান্তিকে ডিএসই-৩০ সূচক সমন্বয় করে। এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসের ডিজাইন করা সূচক গণনা পদ্ধতি অনুসারে বার্ষিক ভিত্তিতে ব্রড ইনডেক্স এবং অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে ব্লুচিপ সূচক পুনর্বিন্যাস করেছে তাদের কমিটি। এ ছাড়া শর্ত পরিপালন করতে না পারায় নতুন তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি প্রধান সূচক ডিএসইএক্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ২১ জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। সূচকে জায়গা পাওয়া কোম্পানিগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেড ও বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড।
বর্তমানে ডিএসই-৩০ সূচকে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, বিবিএস ক্যাবলস, বেক্সিমকো লি., ব্র্যাক ব্যাংক, বিএসআরএম লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, কনফিডেন্স সিমেন্ট, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক, গ্রামীণফোন, আইডিএলসি, ইফাদ অটোস, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, এমজেএল বিডি, ন্যাশনাল ব্যাংক, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রেনাটা, সিঙ্গার বিডি, স্কয়ার ফার্মা, সামিট পাওয়ার, তিতাস গ্যাস, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
ডিএসই-৩০ সূচকের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের ৫১ শতাংশ ইকুইটি সম্মিলিতভাবে ডিএসই-৩০-এর কোম্পানিগুলোর হতে হবে। প্রতিটি কোম্পানির বাজার মূলধন ৫০ কোটি টাকার বেশি হতে হবে। প্রতি প্রান্তিকে প্রতিটি কোম্পানির দৈনিক গড় লেনদেন হতে হবে ৫০ লাখ টাকা। তবে অন্য শর্তগুলো পূরণ সাপেক্ষে কোম্পানির গড় লেনদেন ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে। ব্লুচিপ সূচকে স্থান পেতে হলে প্রতিটি কোম্পানিকে মুনাফায় থাকতে হবে। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বীমা, আবাসন, ওষুধ এবং জ্বানানি ও বিদ্যুৎ এ খাতগুলো থেকে পাঁচটি করে কোম্পানি এবং সম্মিলিতভাবে ৩০টি কোম্পানি ডিএসই-৩০ সূচকে স্থান পাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা