২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

কনস্টেলেশন ফান্ডের আইপিও শুরু আজ

পতন সামলে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজার
-

দুই দিনের টানা পতন সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। গতকাল দিনের শুরুতে পুঁজিবাজারগুলো বিক্রয়চাপের শিকার হলেও দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায়। দিনের বাকি সময় এ প্রবণতা ধরে রাখতে সক্ষম হলে সূচকের উন্নতি দিয়েই দিন শেষ করে দুই পুঁজিবাজার। এ সময় উভয় বাজারেই লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ঢাকায় লেনদেন কমলেও বেড়েছে চট্টগ্রামে।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ২৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। ৫ হাজার ৩৭৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা সূচকটি মঙ্গলবার দিনশেষে পৌঁছে যায় ৫ হাজার ৪০০ দশমিক ২৩ পয়েন্টে। একই সময় ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচকের উন্নতি হয় যথাক্রমে ৭ দশমিক ৬৬ ও ৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট। এর আগে দুই দিনে প্রধান সূচকটির প্রায় ১০০ পয়েন্ট হারায় ডিএসই।
দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের উন্নতি হয় যথাক্রমে ৮৬ দশমিক ৪৮ ও ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। এখানে সিএসই-৫০ ও সিএসই শরিয়াহ সূচকে যুক্ত হয় ৪ দশমিক ৬৬ ও ৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট।
সূচকের উন্নতি সত্ত্বে¡ও গতকাল হ্রাস পায় ডিএসইর লেনদেন। এদিন ৫২৮ কোটি টাকার লেনদেন নিষ্পত্তি করে পুঁজিবাজারটি যা আগের আগের দিন অপেক্ষা সাত কোটি টাকা কম। সোমবার ডিএসইর লেনদেন ছিল ৫৩৫ কোটি টাকা। তবে লেনদেন বেড়েছে চট্টগ্রাম স্টকে। এখানে ৩৩ কোটি টাকা থেকে ৪৩ কোটিতে পৌঁছে লেনদেন।
এদিকে বে-মেয়াদি কনস্টেলেশন ইউনিট ফান্ডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদা গ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ। চলবে আগামী ২ আগস্ট পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৮৮তম নিয়মিত সভায় এই প্রসপেক্টাস অনুমোদন দেয়া হয়। মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা এবং এর ইউনিট সংখ্যা এক কোটি। এখানে উদ্যোক্তার অংশ এক কোটি টাকা। সব বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯ কোটি টাকা। যা ইউনিট বিক্রয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে। ফান্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০ টাকা।
ফান্ডের উদ্যোক্তা ও সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে কনস্টেলেশন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। এ ছাড়া ফান্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ এবং কাস্টোডিয়ান হিসেবে থাকছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
গতকাল সূচকের উন্নতি দিয়ে লেনদেন শুরু করে দুই পুঁজিবাজার। কিন্তু ১৫ মিনিট না যেতেই বিক্রয়চাপের মুখে পড়ে বাজারগুলো। ঢাকা স্টকে সকালে ৫ হাজার ৩৭৫ দশমিক ২৯ পয়েন্ট থেকে যাত্রা করা ডিএসইএক্স সূচকটি প্রথমদিকে ৫ হাজার ৪০০ পয়েন্ট অতিক্রম করলেও পরক্ষণেই বিক্রয়চাপের মুখে পড়ে বেলা সোয়া ১১টায় নেমে আসে ৫ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে। তবে স্বল্প সময়ের মধ্যেই চাপ সামলে নেয় বাজারটি দুপুর পৌণে ১২টায় ডিএসই সূচক আবার ৫ হাজার ৪০০ পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করে। দিনের বাকি সময় সূচকের এ অবস্থান ধরে রাখলে দিনশেষে ৫ হাজার ৪০০ দশমিক ২৩ পয়েন্টে স্থির হয় ডিএসই সূচক।
সূচকের উন্নতির পেছনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপািশ গ্রামীণফোন ও স্কয়ার ফার্মার মতো কয়েকটি বড় মূলধনের কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধি ভূমিকা রাখে। তবে এ সময় বীমা খাতের আচরণ ছিল মিশ্র। এ খাতে গত ক’দিন ধরে বেশির ভাগ কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় জায়গা করে নিলেও গতকাল বেশির ভাগে সংশোধন ঘটে। এ ছাড়া অন্য খাতগুলোতে বেশ কিছু কোম্পানি আগের দিনগুলোর হারানো দর ফিরে পায়। ঢাকা শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি কোম্পানি ও ডিমউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৯৬টির মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ১০৫টি। অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির দর। অন্য দিকে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া ২৫৯টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৫৫টির দাম বাড়ে, ৬৯টির কমে এবং ৩৫টি সিকিউরিটিজের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। ১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকায় কোম্পানিটির ৩৩ লাখ ৭৩ হাজার শেয়ার হাতবদল হয় এ সময়। ১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকায় ৮৮ লাখ ২২ হাজার শেয়ার বেচাকেনা করে নুরানি ডাইং ছিল দ্বিতীয় স্থানে। ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানির অন্যগুলো ছিল যথাক্রমে জেএমআই সিরিঞ্জ, ড্রাগন সোয়েটার, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, নিউলাইন ক্লদিং, এসকে ট্রিমস, ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও প্যাসিফিক ডেনিমস।

 


আরো সংবাদ



premium cement