১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বছরের সর্বনিম্নে ডিএসইর লেনদেন ও সূচক

-

ধারাবাহিক নেতিবাচক প্রবণতা পুঁজিবাজারে সূচকের যেমন প্রতিনিয়ত অবনতি ঘটাচ্ছে তেমনি তার প্রভাব পড়ছে বাজারের লেনদেনেও। এভাবে সূচকের অবনতির পাশাপাশি শুরু হয়েছে লেনদেন খরা। গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন নেমে আসে ৪০০ কোটির নিচে। ৩৯০ কোটি টাকার লেনদেন নিষ্পত্তি করে পুঁজিবাজারটি যা চলতি বছরের সর্বনিম্ন। গত বছরের ডিসেম্বরের পর আর এত নিচে নামেনি ডিএসইর লেনদেন।
অন্য দিকে গতকাল ডাকা দ্বিতীয় দিনের মতো বড় ধরনের সূচক হারায় দেশের দুই পুঁজিবাজার। ঢাকা স্টকের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৩০ দশমিক ৪ পয়েন্ট হারায়। ৫ হাজার ৬০০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা সূচকটি বৃহস্পতিবার দিনশেষে নেমে আসে ৫ হাজার ৫৭০ দশমিক ১৫ পয়েন্টে। গত ডিসেম্বরের পর এটি ডিএসই’র প্রধান সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। একই সময় ডিএসইর দুই বিশেষায়িত সূচক ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ হারায় যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫৮ ও ৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট।
দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের অবনতি ঘটে যথাক্রমে ৫৭ দশমিক ৯৩ ও ৩৬ দশমিক ৪১ পয়েন্ট। এখানে সিএসই-৫০ ও সিএসই শরিয়াহ সূচক হারায় যথাক্রমে ৪ দশমিক ৬২ ও ২ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারেও। গতকাল বাজারটির লেনদেন নেমে আসে ৯ কোটি টাকায়। এটি বাজারটির বিগত দুই বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন।
বৃহস্পতিবার সূচকের উন্নতি দিয়ে পুঁজিবাজারগুলো দিন শুরু করলেও তা টিকে থাকে মাত্র ১৫ মিনিট। ঢাকায় ৫ হাজার ৬০০ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা ডিএসইর প্রধান সূচকটি বেলা পৌনে ১১টায় পৌঁছে যায় ৫ হাজার ৬১৭ পয়েন্টে। সূচকের এ অবস্থান থেকেই বিক্রয়চাপ শুরু হয়। মাত্র আধ ঘণ্টার মাথায় বেলা সোয়া ১১টায় সূচকটি নেমে আসে ৫ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে। এ পর্যায়ে সূচকের প্রায় ২৬ পয়েন্ট হারায় ডিএসই। তবে এখান থেকে ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে সূচকটি। দুপুর ১২টার আগে ডিএসই সূচক ফের পৌঁছে যায় ৫ হাজার ৬০৪ পয়েন্টে। কিন্তু সূচকের এ প্রবণতা আবার বিক্রয়চাপের কাছে হার মানে। দিনের বাকি সময় বিক্রয়চাপ সক্রিয় থাকায় দিনশেষে ৩০ দশমিক ৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ৫৭০ দশমিক ১৫ পয়েন্টে স্থির হয় ডিএসই সূচক।
পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক দরপতন বিনিয়োগকারীদের মাঝে হতাশা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই ডিএসইর সামনে বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীর জটলা চোখে পড়ে। তাদের অনেকে বিভিন্নভাবে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করার চেষ্টা করলেও পুরোপুরি সংঘটিত ছিল না। পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাজার এভাবে চলতে থাকলে ২০১১ সালের মতো আবার বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে আসতে পারে। তারা মনে করেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষের উচিত যত দ্রত সম্ভব পুঁজিবাজারের টানা এ পতনের কারণ নির্ণয় করে ব্যবস্থা নেয়া।
ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক দরপতনকেই সূচকের বড় অবনতির কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল এ দু’টি খাত বেশি দরপতনের শিকার হয়। আর্থিক আরেকটি খাত বীমায় দর ফিরে পায় বেশির ভাগ কোম্পানি। অন্যান্য খাতেও এ প্রবণতা ছিল। কিন্তু বড় মূলধনী ব্যাংক, নন ব্যাংকের দরপতন সূচকের পতন ত্বরান্বিত করে। এ ছাড়া বহুজাতিক বেশ কয়েকটি কোম্পানি আগের দিনের মতো দরপতনের স্বীকার ছিল গতকাল। ঢাকায় লেনদেন হওয়া ৩৪৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৩৫টির মূল্যবৃদ্ধিও বিপরীতে দর হারায় ১৫৪টি। অপরিবর্তিত ছিল ৫৬টির দর। অন্য দিকে চট্টগ্রামে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ৭৫টির দাম বাড়ে, ১৩৭টির কমে ও ২৪টি সিকিউরিটিজের দাম অপরিবর্তিত থাকে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে সিঙ্গার বাংলাদেশ। ২৩ কোটি ৩১ লাখ টাকায় কোম্পানিটির ৮ লাখ ৮৬ হাজার শেয়ার হাতবদল হয় গতকাল। ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকায় ২৪ লাখ ১৬ হাজার শেয়ার বেচাকেনা করে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ ছিল দ্বিতীয় স্থানে। ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির অন্যগুলো ছিল যথাক্রমে বিএটিবিসি, ব্র্যাক ব্যাংক, মুন্নু সিরামিকস, ইউনাইটেড পাওয়ার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ও মারিকো বাংলাদেশ।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেল শ্রমিকদের মাঝে ইসলামের আদর্শের আহ্বান পৌঁছাতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমানবন্দরের টার্মিনালে ঢুকে গেলো বাস, ইঞ্জিনিয়ার নিহত

সকল