১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুঁজিবাজারে সূচকের উন্নতি সাত দিন পর

-

সাতদিন টানা দরপতনের পর গতকাল দেশের দুই পুঁজিবাজারেই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে এবং তার মধ্য দিয়ে সাত দিন পর উন্নতি ঘটেছে পুঁজিবাজার সূচকের। দিনের বিভিন্ন পর্যায়ে বিক্রয়চাপ সৃষ্টি হলেও বাজারগুলো তা কাটিয়ে ওঠে। এ দিন উভয় পুঁজিবাজারেই লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধিও পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ২৮ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। ৫ হাজার ৪৪৩ দশমিক ৮১ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা সূচকটি দিনশেষে পৌঁছে যায় ৫ হাজার ৪৭২ দশমিক ৬০ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচকের উন্নতি ঘটে ২ দশমিক ৬২ ও ১ দশমিক ৭ পয়েন্ট। এর আগে সাত দিনের দরপতনে প্রধান সূচকটির ১৩১ পয়েন্ট হারিয়েছিল ডিএসই।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের উন্নতি ঘটে ৭১ দশমিক ১৫ ও ৩৯ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। সিএসই-৫০ ও সিএসই শরিয়াহ সূচক ২ দশমিক ৬২ ও দশমিক ৮২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়।
সূচকের পাশাপাশি গতকাল উন্নতি ঘটেছে দুই পুঁজিবাজারের লেনদেনেও। ডিএসই গতকাল ৭৩১ কোটি টাকার লেনদেন নিষ্পত্তি করে সোমবার এখানে লেনদেন ছিল ৬৯৬ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে ২৪ কোটি টাকা থেকে ২৭ কোটিতে পৌঁছে লেনদেন।
মূলত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে মূল্যবৃদ্ধিই গতকাল পুঁজিবাজার সূচককে এগিয়ে নেয়। এ তিনটি খাতের বেশির ভাগ কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটে গতকাল। তবে তাদের মধ্যে বীমা খাতে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে অপেক্ষাকৃত বেশি। এ খাতে প্রায় ৯০ শতাংশ কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু কোম্পানি গতকাল বিগত দিনগুলোতে হারানো দরের কিছু অংশ ফিরে পায়।
এ ছাড়া গতকাল বেশ কিছু কোম্পানি দিনের সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে পৌঁছে যায় এবং দিনের মূল্যবৃদ্ধিও শীর্ষে উঠে আসে ‘জেড’ শ্রেণীতে লেনদেন হওয়া বেশ কয়েকটি কোম্পানি। ২০টির বেশি কোম্পানি গতকাল দিনের কোনো না কোনো সময়ে সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে পৌঁছতে দেখা যায়। দিনশেষে কোম্পানিগুলোর মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৮ শতাংশের বেশি। আর এদের মূল্যবৃদ্ধিও দিনের সূচকে কমবেশি ভূমিকা রাখে।
অন্যদিকে ব্যাংক বীমার মূল্যবৃদ্ধির এ দিনে অন্যান্য খাতের অধিকাংশ দরপতনের শিকার হয়। সিমেন্ট, সিরামিকস, তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়া, পাট ও সেবা খাতের বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারায় গতকাল। শতভাগ কোম্পানি দরপতনের শিকার হয় টেলিযোগাযোগ খাতে। তবে অধিকাংশ টেক্সটাইল ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত হারানো দরের একটি অংশ ফিরে পায়। ঢাকা শেয়ারবাজারে এ দিন লেনদেন হওয়া ৩৩৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৬৬টির মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারায় ১২৮টি। অপরিবর্তিত ছিল ৪১টি কোম্পানির শেয়ারদর। অপর দিকে চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে লেনদেন হওয়া ২৫১টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১২১টির দাম বাড়ে, ১১০টির কমে এবং ২০টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষে ছিল খুলনা পাওয়ার কোম্পানি। ৭৮ কোটি ২৭ লাখ টাকায় তাদের ৬০ লাখ ৭৫ হাজার শেয়ার হাতবদল হয়। ৬২ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ১ কোটি ৩৪ লাখ ১০ হাজার শেয়ার বেচাকেনা করে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস ছিল দ্বিতীয় অবস্থানে। লেনদেনে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির অন্যগুলো ছিল ইফাদ অটোস, শাশা ডেনিমস, বিবিএস ক্যাবলস, ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, সায়হাম টেক্সটাইল, সিঙ্গার বাংলাদেশ, প্যারামাউটি টেক্সটাইলস ও নাহি অ্যালুমিনিয়াম।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সম্ভাবনা সত্ত্বেও সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে ঘাটতির কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী লাল গালিচা, ডুবুরি আর একলা সন্ন্যাসী রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে কিশোরীর মৃত্যু জামালপুরে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অটোরিকশা চুরির মামলা কেএনএফ সদস্যদের আদালতে উপস্থাপন, ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর ৬ জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ, মর্টার শেলের শব্দে প্রকম্পিত সীমান্ত এলাকা হামলার ব্যাপারে ইসরাইল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে : নেতানিয়াহু ইরানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাশ্চাত্যের দেশগুলো সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, নগদ টাকাসহ ৮০ লাখ টাকার মালামাল লুট প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

সকল