২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাজার মূলধন ও লেনদেনের বড় উন্নতি ডিএসইর

-

টানা মন্দা থেকে বেরিয়ে ফের উন্নতির ধারায় ফিরেছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহের চারটি কর্মদিবসের তিনটিতেই উন্নতি হয় পুঁজিবাজার সূচকের। আর এর ফলে মাত্র এক সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধনে যোগ হয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। সোমবার তিন লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা মূলধন দিয়ে সপ্তাহ শুরু করা পুঁজিবাজারটির মূলধন বৃহস্পতিবার সপ্তাহান্তে দাঁড়ায় তিন লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ২ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে গতি ফিরে আসে পুঁজিবাজরের লেনদেনে।
ঈদের ছুটির পর সোমবার লেনদেন শুরু হয় পুঁজিবাজারগুলোতে। শুরুতেই হোঁচট খায় বাজার। কিন্তু পরবর্তী তিন দিন বাজারগুলো সূচকের উন্নতি ধরে রাখতে সক্ষম হয়। এতে সপ্তাহান্তে ডিএসই সূচকের ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ উন্নতি হয়। সোমবার ৫ হাজার ৩৬৫ দশমিক ২২ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা ডিএসইর প্রধান সূচকটি বৃহস্পতিবার দিনশেষে পৌঁছে যায় ৫ হাজার ৪৪১ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। এতে ৭৬ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট উন্নতি হয় সূচকটির। একই সময় ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচকের উন্নতি হয় যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৫৯ ও ২৫ দশমিক ২৭ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে ডিএসইর লেনদেন। এ সময় দুই হাজার ৬৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৮ হাজার টাকার লেনদেন নিষ্পত্তি করে পুঁজিবাজারটি, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ১০১ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইর টার্নওভার ছিল এক হাজার ৩১৫ কোটি ৬০ লাখ ৪৩ হাজার টাকার। সূচকের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নতিই ডিএসইর বাজার মূলধনের এ উন্নতি ঘটায় এমনটিই মনে করছে বাজার সংশ্লিষ্টরা।
মূলধনের পাশাপাশি বাজারটির মূল্য আয় অনুপাতে (পিই) বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়। গত সপ্তাহান্তে ডিএসইর পিই দাঁড়ায় ১৪ দশমিক ৮২, যা আগের সপ্তাহ অপেক্ষা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে বাজারটির পিই ছিল ১৪ দশমিক ৪৫।
এ দিকে সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। খাত। ডিএসইতে মোট লেনদেনের ১৫ শতাংশ অবদান রয়েছে এ খাতে। প্রায় একই পরিমাণ লেনদেন করে বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতও ছিল লেনদেনের শীর্ষ তালিকায়। এ দু’টি খাতেও ১৫ শতাংশের কাছাকাছি লেনদেন হয়। লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, পুরো সপ্তাহে ওষুধ খাতে গড়ে ৬১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রকৌশল খাতে গড়ে ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর বস্ত্র খাতে গড়ে ৫৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দিক থেকে এর পরবর্তী অবস্থানে ছিল জ্বালানি খাত। এ খাতে ছিল মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ। লেনদেনের শীর্ষে থাকা অন্যান্য খাতের মধ্যে বিবিধ খাতে ১০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ৬ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৪ শতাংশ, ট্যানারি, টেলিকমিউনিকেশন, ট্যানারি, খাদ্য ও জীবন বীমা খাতে ৩ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম লেনদেন হওয়া খাতগুলোর মধ্যে আর্থিক খাতে ২ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড ও পাট খাতে ১ শতাংশ করে লেনদেন হয়েছে।
একই সূত্র অনুসারে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে দর বেড়েছে ১৩ খাতে। আর দর কমেছে বাকি ৭ খাতে। সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে কাগজ খাতে। এ খাতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ দর বেড়েছে। এরপর আর্থিক খাতে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ দর বেড়েছে।
অন্যান্য খাতের মধ্যে সিরামিক খাতে ৩.২৩ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে দশমিক ৩৮ শতাংশ, খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাতে ১.৯৭ শতাংশ, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ২.১৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
এ ছাড়া সাধারণ বীমা খাতে দশমিক ৪৮ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে দশমিক ২৩ শতাংশ, ওষুধ-রসায়ন খাতে দশমিক ৫২ শতাংশ, ট্যানারি খাতে দশমিক ২৯ শতাংশ ও বস্ত্র খাতে দশমিক ২৭ শতাংশ দর বেড়েছে।
অন্য দিকে দর কমেছে বাকি ৭ খাতে। ব্যাংক খাতে দশমিক ৭০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে দশমিক ৩২ শতাংশ, আইটি খাতে ১.৭৩ শতাংশ, পাট খাতে ২.৩৯ শতাংশ, সেবা-আবাসন খাতে দশমিক ৩১ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৪.৭৯ শতাংশ ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে দশমিক খাতে ১.৯ শতাংশ শতাংশ দর কমেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ২৩ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট এক কোটি ১৪ লাখ ২৭ হাজার ৬০৩টি শেয়ার বা ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২৩৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে ব্লক মার্কেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে লাফার্জ হোলসিম লিমিটেডের। এ কোম্পানির ৩০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ব্লক মার্কেটে লেনদেনের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট ১৬ লাখ ২৮ হাজার শেয়ার ব্লকে লেনদেন হয়েছে; যার আর্থিক মূল্য ৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোন ১৫ লাখ ৫ হাজার শেয়ার লেনদেন করেছে। যার আর্থিক মূল্য ৫৭ কোটি ২২ লাখ টাকা।
ব্লকে লেনদেন করা অন্য কোম্পানিগুলো ছিল ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, স্ট্যাইল ক্রাফট, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, রেনেটা লিমিটেড, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, গ্রামীণফোন, বিডি অটোকার্স, রহিম টেক্সটাইল, সামিট পাওয়ার, আইপিডিসি, লিন্ডে বিডি, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, শাশা ডেনিমস, অ্যাপেক্স ট্যানারি, বাটা স্যু, ইবনে সিনা, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ডিবিএইচ ও কেপিসিএল।


আরো সংবাদ



premium cement
সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে ‘না’ বলুন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দূত হলেন উসাইন বোল্ট ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৭ বাংলাদেশে নতুন করে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা হিট অ্যালার্ট নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা ভান্ডারিয়ায় পিকআপ চাপায় বৃদ্ধ নিহত হোচট খেল লিভারপুল, পিছিয়ে গেল শিরোপা দৌড়ে যোদ্ধাদের দেখতে প্রকাশ্যে এলেন হামাস নেতা সিনওয়ার! ফের পন্থ ঝড়, ঘরের মাঠে গুজরাটকে হারাল দিল্লি ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র গ্রেফতারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থীদের বিক্ষোভ আরো বেড়েছে

সকল