২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দাফনের ৫ মাস পর পুলিশের হাতে আটক!

পুলিশের হাতে আটক ফারুক আকন - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিষখালী নদীতে জেলেদের জালে হাত-পা বাঁধা মাথাবিহীন লাশ উদ্ধারের পর দেবরের লাশ দাবি করে নিজ বাড়িতে দাফন করেছিলেন রেহেনা বেগম। চলতি বছরের ৩০ জুলাই পাথরঘাটা থানার ফারুক আকন নিখোঁজ মর্মে একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন তার ভাবি রেহানা। দাফনের পাঁচ মাস পর থানায় ডায়েরির ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গত ২ ডিসেম্বর পুলিশের হাতে আটকা পড়েন ফারুক আকন।

বরগুনার পাথরঘাটা থানার ওসি মো: শাহবুদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃত ফারুক আকন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়েনের জালিয়াঘাটা গ্রামের মৃত হাতেম আলী আকনের ছেলে।

অন্যদিকে, সেই লাশ দাফনের ১৫ দিন পর বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আ: রহিম খানের ছেলে মো: সোহেল খানের লাশ এটি বলে দাবি করেন মা লাইলি বেগম। লাশের সাথে থাকা সাইকেলের চাবি ও জামা দেখে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে এর প্রমাণ মিললে আদালতের মাধ্যমে লাশ উত্তোলন করে সোহেলের নিজ বাড়িতে নিয়ে পুনরায় দাফন করে তার পরিবার।

পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফারুক আকনের সাথে প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকাকালীন ওই জমির কাগজপত্র নিয়ে উকিলের পরামর্শ নিতে পাথরঘাটা আসেন। পাথরঘাটা আসার পর থেকে ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় তার ভাইয়ের স্ত্রী রেহানা বেগম পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। থানায় অভিযোগের ১০ দিন পর বিষখালী নদীতে ওই লাশ পাওয়ার পর তার স্বজনরা ওই লাশটি ফারুক আকনের বলে শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে ওই একই লাশ বরগুনার সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের আ: রহিম খানের ছেলে মো: সোহেল খানের লাশ নিশ্চিত হওয়ায় পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যায়।

এরই ধারাবাহিকতায় পাঁচ মাস পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রাজধানীর ভাটারা থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে আটক করে ফারুক আকনকে জীবিত অবস্থায় আটক করা হয়।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: সাইদ আহমেদ বলেন, সোহেল হত্যার সাথে ফারুক আকনের কোন সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক ফারুক আকনেকে আদালতে হাজির করা হলে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরো সংবাদ



premium cement