২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঝালকাঠিতে এমপি হারুনের বিরুদ্ধে আ’লীগের সভা

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঠালিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বজলুল হক হারুনের বিরুদ্ধে দলের বাইরের লোক দিয়ে কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে সভা করেছে আওয়ামী লীগের একটি অংশ। অপরদিকে এমপি হারুনের পক্ষে সভা করেছে আওয়ামী লীগের অপর একটি পক্ষ।

শনিবার বিকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য বজুলল হক হারুনের পক্ষ উপজেলা সদরের বাইপাস মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং এমপিবিরোধী পক্ষ ডাকবাংলো মোড়ে সমাবেশ করে।

এর আগে দুই পক্ষ উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে একই সময় সমাবেশের ডাক দেয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে উপজেলা প্রশাসন দুই পক্ষকে অন্য স্থানে সমাবেশ করার পরামর্শ দেয়। দুই পক্ষই আলাদা স্থানে সমাবেশ করে। উভয় পক্ষের সমাবেশেই বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উত্তেজনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করে প্রশাসন। সড়কে সমাবেশ করায় যান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ দেখা দেয়।

নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলার বাইপাস এলাকার উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাজাপুর-ভান্ডারিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এমপি বজলুল হক হারুনের উপজেলার সকল ইউনিয়নের ও সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মিলন মাহমুদ বাচ্চু সভাপতিত্ব করেন।

এ সমাবেশে তিনি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করেন। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের সিনিয়র সহসভাপতি মিলন মাহমুদ বাচ্চু। সমাবেশে বজলুল হক হারুন বলেন, আমরা দলের মধ্যে কোনো বিরোধ চাই না। সকলের প্রতি অনুরোধ, আমি দলে না থাকলেও আপনারা কেউ দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না।

এদিকে, এমপিবিরোধীরা উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড়ে সমাবেশ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তারেক শাহীন মৃধা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খাইরুল আলম সরফরাজ, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো: মনিরউজ্জামান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু।

সমাবেশে আফরোজা আক্তার লাইজু বলেন, এমপি সাবেহ যাদের নিয়ে রাজনীতি করেন, তারা কেউ দলের লোক নয়। ভাড়া করা লোক দিয়ে তিনি সমাবেশ করেন। বিভিন্ন নির্বাচনে তিনি দলের বিপক্ষের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছেন। তার কারণে দল আজ দ্বিধা বিভক্ত। আমি অনুরোধ করছি, এখনো সময় আছে আপনি সঠিক পথে আসুন। অন্যথায় দলীয় নেতাকর্মীরা আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খাইরুল আলম সরফরাজ বলেন, দলকে বিভক্ত করেছেন এমপি বজলুল হক হারুন। আজ তিনি যেখানে সমাবেশ ডেকেছেন, সেখানে করতে পারেননি। এতেই প্রমাণিত হয় আপনার প্রতি মানুষের সমর্থন নেই।

এদিকে, সড়কে সভা করায় ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচলাচলে ভোগান্তি দেখা দেয়। দু’গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেয়ায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement