বঙ্গোপসাগর থেকে ৫দিন পর ফিরলো ৮ জেলে, এখনো নিখোঁজ ৭
- পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ১২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৯
বরগুনার পাথরঘাটা থেকে দক্ষিন-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের নারিকেল বাড়ীয়া এলাকায় এফবি তরিকুল নামে একটি মাছধরা ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ার পরের দিন শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কবলে পরে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ ১৫ জেলের মধ্যে ৮ জেলে উদ্ধার হয়েছে। আপর ৭ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিখোঁজ জেলেরা হলো- বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের লিটন, সুমন ও মোসলেম এবং তালতলী উপজেলার লালুপাড়া গ্রামের সবুজ, কামাল হাওলাদার, শানু হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার।
উদ্ধার জেলেরা হলো, বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের দুলাল মাঝি, হারুন মিয়া ও মোসারেফ এবং তালতলী উপজেলার লালুপাড়া গ্রামের আনোয়ার সিকদার, মোস্তফা ফরাজী, জসিম, পনু মোল্লা, জলিল খান।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের বরাত দিয়ে মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বরগুনার নজরুল ইসলামের মালিকানাধীন ওই ট্রলারটি সুন্দরবন সংলগ্ন নারিকেল বাড়ীয়া এলাকায় মাছধরার সময় হঠাত ইঞ্জিন বিকল হয়। কিছুক্ষণ পরে পার্শ্ববর্তী এফবি গাজী নামের ট্রলারে ছগির নামের এক জেলেকে নিয়ে আসেন তারা। পরে ওই জেলে ঘুর্ণীঝড় বুলবুলের পরেরদিন অন্য একটি ট্রলার নিয়ে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই ট্রলারটি আর পায়নি। পরে আজ মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ ১৫ জেলের ৮ জেলে সাতক্ষীরার জেলার শ্যামনগর উপজেলার বালির চর থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে সেখানের কাকড়া সংগ্রকারীরা নৌপুলিশের কাছে দিয়ে দেয়। নৌপুলিশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে তাদেরকে বরগুনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। নিখোঁজ অপর ৭ জেলে সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
উদ্ধার জেলে দুলাল মাঝি, হারুন মিয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলকে কেন্দ্র করে সমুদ্র উত্তাল থাকায় আমাদের ট্রলারটি ডুবে যাওয়ায় আমরা লাফিয়ে পরে একটি চরে উঠি। আমাদের সাথের জেলেরা আদৌ বেঁচে আছে কিনা তা আমাদের জানা নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা