১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডব : বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে নারীর মৃত্যু

-

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে বরগুনায় প্রবল ঝড়ো বাতাসে বরগুনা, বামনা, বেতাগী, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী এ ৬ উপজেলায় আট শতাধিক কাচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্থ হয়েছে, হাজার হাজার গাছপালা উপরে গেছে, বেরিবাধ ভেঙ্গে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, অগণিত বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুতবিহীন অন্ধকারে পুরো জেলা। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ।

বরগুনার একটি আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া হালিমা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে তার এ মৃত্যু হয়। হালিমা খাতুন সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডি এল কলেজ আশ্রয়ন কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিচুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হালিমা খাতুন নামের ওই নারী অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বামনার বেগম ফায়জুন্নেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের টিনের ঘরটি গাছ পরে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ৩৭ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জেলার সাড়ে ৯শ' কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন, ফণীসহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় সাড়ে পাঁচ'শ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সে বাঁধ এখনও সম্পূর্ণ মেরামত হয়নি। এ জন্য বিলীন হয়ে গেছে বহু বসতবাড়ি, গাছপালা এবং কয়েক শ' একর ফসলি জমি। এসব বাধ সম্পূর্ণ মেরামত না হতেই ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানে। আতঙ্কে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ এলাকার লক্ষাধিক বাসিন্দা।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা জেলায় প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩৭ কিলোমিটার বাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বাকি বাধও মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement