২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোমল পানীয়ের সাথে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ৪ শিশুর অবস্থা গুরুতর

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ধামসর গ্রামে কোমল পানীয় টাইগারের সাথে মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়ে চার শিশু শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটলে অসুস্থ ওই চার শিক্ষার্থীকে প্রথমে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে বিকেলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের ধামসর গ্রামের ধামসর অক্সফোর্ড মিশনে শুক্রবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে গ্রামের পুরুষ, শিশু ও নারীসহ সকলেই যোগদান করেন।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধামসর গ্রামের মিন্টু মন্ডলের কন্যা ও সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ন্যান্সি মন্ডল (১৩) একই গ্রামের মিন্টু হালদারের ছেলে দ্বীপ হালদার (৭), নির্মল হালদারের মেয়ে ঐশি হালদার (১১) ও সন্তু অধিকারীর মেয়ে অর্পিতা অধীকারীকে (৯) ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী দোকানে যান।

সেখান থেকে তারা কয়েকটি কোমল পানীয় (টাইগার) কিনে ন্যান্সির বাড়িতে যায়। এ সময় বাড়িতে ন্যান্সির বাবা-মা কেহই ছিলেন না।

ন্যান্সির মামা মাইকেল পান্ডে (৪৫) জানান, ভাগ্নে ন্যান্সি কয়েকটি (কোমল পানীয়) টাইগারের মধ্যে ঘরে থাকা একাধিক মাইলন ট্যাবলেট (ঘুমের ওষুধ ৭.৫) মিশিয়ে তারা সকলে পান করে। পানীয় পান করার কিছু সময়ের মধ্যে ন্যান্সি ব্যতীত অন্য তিন শিশু শিক্ষার্থীরা বমি করতে করতে অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন ভাগ্নি ন্যান্সি তাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি (মাইকেল) এসে ন্যান্সিসহ অন্যান্যদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোঃ মাকসুদুর রহমান জানান, ‘কোমল পানীয়র সঙ্গে মেশানো ঘুমের ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় ওই চার শিক্ষার্থী দ্রুত অচেতন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ঐশি হালদার ও দ্বীপ হালদারের অবস্থা খুবই আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে প্রথমেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী অর্পিতা ও ন্যান্সিকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখানে পাঠানো হয়।

চিকিৎসক মাকসুদুর রহমান অসুস্থ শিক্ষার্থী ন্যান্সির বরাত দিয়ে জানান, ‘ন্যান্সিসহ ওই চার শিশু শিক্ষার্থী আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নেশার জন্য প্রত্যেকটি কোমল পানীয় (টাইগার) এর সাথে ৫ থেকে ৬টি করে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পান করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘুমের ওষুধ টাইগারের সাথে মিশিয়ে ন্যান্সি পান করেছে বলে তাকে জানিয়েছে। ঘুমের ওষুধগুলো ন্যান্সির ঘরেই ছিলো এবং সেগুলো তার মা নিয়মিত সেবন করতেন।’


আরো সংবাদ



premium cement
কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে টিকটক করতে গিয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

সকল