বামনায় যুবলীগ নেতার লাশ উদ্ধার
- গোলাম কিবরিয়া, বরগুনা
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৩৬
বরগুনার বামনা উপজেলার সোনাখালী গ্রামে বাড়ীর একশত গজ পিছনে বাগনের মধ্যে একটি ডোবা থেকে বামনা সদর ইউনিয়নের ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন হাওলাদারের (৩৮) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে বামনা থানা পুলিশ। নিহত যুবলীগ নেতা রিপন হাওলাদার উপজেলার সোনাখালী গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে। তিনি এক সন্তানের জনক।
এদিকে পরিবারের দাবি রিপনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ডোবার ভিতর পুতে রাখা হয়েছিলো। সোমবার সকাল সাতটায় নিহতের মা রিজিয়া বেগম বাড়ীর পিছনে বাগানের মধ্যে তার ছেলের ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নিহত যুবলীগ নেতা রিপন হাওলাদারের মা রিজিয়া বেগম অভিযোগ করেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তার ছেলেকে প্রতিপক্ষরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বাড়ির পিছনে একটি ডোবায় পুতে রাখে। তিনি জানান, তার ছেলে ইজিবাইক চালক। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বাড়ির সম্মুখে সড়কের পাশে তার ইজিবাইকটির ব্যাটারী চার্জ দিতে যায়। পরে সে আর ঘরে ফেরেনি। এরপর সোমবার সকালে তার একটি ট্রিপ নিয়ে (যাত্রী নিয়ে) ফুলঝুড়ি খেয়াঘাটে যাওয়ার কথা ছিলো। সকালে যখন ওই যাত্রীরা তাকে ফোন করে না পায় তখন তার বাবার ফোনে কল দেয়।
তারা ঘরে গিয়ে ছেলেকে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খুজতে থাকেন। পরে বাড়ির পিছনে একটি বাগানের মধ্যে ডোবার পানিতে ছেলের পায়ের জুতা ভাসতে দেখতে পান তিনি। পরে একটি লাঠি দিয়ে ওই ডোবার ভিতর খুজলে তার লাশ ভেসে উঠে। তিনি তাৎক্ষণিক ডাকচিৎকার দিলে পরিবারের অন্য সদস্যরা সেখানে গিয়ে তার লাশ দেখতে পায়। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
নিহত যুবলীগ নেতা রিপন হাওলাদারের ছোট ভাই সেলিম হাওলাদার জানান, তার চাচা চাঁন মিয়া হাওলাদার, আ: সহিদ হাওলাদার ও সৎভাই ইলিয়াস হাওলাদারের সাথে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিলো। এ ঘটনায় সৎভাই ও চাচাদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। এই মামলায় সৎভাই মো: ইলিয়াস হাওলাদার (৪২) কয়েকদিন পূর্বে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বরগুনা জেল হাজতে ছিলেন। পরে গত রোববার সে জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এ ঘটনার সাথে তাদের যোগসাজস থাকতে পারে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রতিবেশী জানান, নিহত রিপন হাওলাদারের চাচা চাঁন মিয়া হাওলাদার ও তার স্ত্রী নিহত রিপনের লাশ দেখতে সোমবার তাদের বাড়িতে গেলে নিহতের মা ও ছোট ছেলে তাদের উপর হামলা চালায়।
বামনা সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব কুমার প্রিন্স বলেন, নিহত রিপন হাওলাদার দলের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তার এই রহস্যজনক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। পুলিশ প্রশানসকে সঠিক ভাবে তদন্ত করে তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান তিনি।
এ ঘটনায় বামনা থানার ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি ডোবা থেকে উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা