২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফণীর প্রভাবে দশমিনায় ভয়াবহ নদী ভাঙন

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা। নদীমাতৃক দেশের একদম মাতৃগর্ভে তেতুঁলিয়া নদীর অবস্থান। বন্যা কিংবা খড়া কোন কিছুতেই যেন এই নদীটি ক্লান্ত হয়না। সে তার নিজ গতিতে বছরের পর বছর ভাঙন অব্যাহত রেখেছে।

যার ফলে বিলীন হয়ে গেছে চর ভোলাই শিং, কালির চর, ভাটার চর, পাঁচখালীর চর ও পাতারচরসহ বিভিন্ন গ্রাম। শত বছরের সেই পুরনো ভাঙন থাকা সত্যেও কৃষকরা আজও পর্যন্ত নদী গর্ভে বিলীন হওয়া জমির খাজনা পরিশোধ করছেন।

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে নদীর পানি বেড়ে উত্তাল সৃষ্টি হওয়ায় উপকূলীয় এ উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট ও বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে চরম হুমকির মুখে পড়েছেন লঞ্চঘাটসহ নদী তীরবর্তী ব্যবসায়ী এবং কয়েক শ’ পরিবার। যে কোন মূহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে লঞ্চঘাট এলাকার সেই পুরানো একমাত্র মসজিদটি।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ঘূর্ণীঝড় ফণীর প্রভাবে গত শুক্রবার বিকাল থেকে উপজেলার তেতুঁলিয়া তীরবর্তী হাজিরহাট ও বাঁশবাড়িয়া বাজারের নদী ভাঙনের অনেকটাই তীব্রতা বেড়েছে। বর্তমানে ফণীর কারণে ভাঙন চরম আকার ধারণ করেছে। নদী ভাঙনের কবলে গত প্রায় একযুগ ধরে হাজিরহাট ও বাঁশবাড়িয়া এলাকার দোকানপাট, বসত ঘর ও শত শত একর ফসলী জমি তেতুঁলিয়া ও বুড়া গৌরঙ্গ নদীতে বিলীন হয়েছে।

এদিকে হাজিরহাট বাজার এলাকার লঞ্চঘাটের একমাত্র পুরাতন মসজিদটি যে কোন সময় নদী গর্ভে হারিয়ে যেতে পারে। স্থানীয় মুসল্লিরা ভাঙনের তীব্রতায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গত বছর রমজানে এই মসজিদটিতে শত শত মুসল্লিরা নিরাপদে তারাবীর নামাজ আদায় করেছেন কিন্তু বর্তমান সময়ে ভাঙনের ফলে মুসল্লিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় ধরে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে একাধিক মহলে আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল পায়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মহল মৌখিক আশ্বাস দিলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তারা।

ভুক্তভোগীরা পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে অভিযোগ জানালেও নূন্যতম কোন সহযোগীতার হাত বাড়াননি তারা। স্থানীয়রা টেকসই বেঁড়িবাধ নির্মাণ ও ব্লক বসিয়ে নদী ভাঙন রোধের দাবি জানান।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান বলেন, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং তাদের নির্দেশটা অনুযাগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা শাজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে আমি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছি। রমজানের ঈদ পরবর্তী সময়ে মন্ত্রী মহোদয় সরেজমিনে ভাঙন পরিদর্শন করবেন। তবে আপনাদের ডকুমেন্টারি লেখনির মাধ্যমে আমি মন্ত্রী মহোদয়কে বিষয়টি আবারও উপস্থাপন করবো।


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে‘ভিত্তিহীন' তথ্য ব্যবহারের অভিযোগ বাংলাদেশ সরকারের মোদির মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু নেতাকে বহিষ্কার ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন চান্দিনায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশু মৃত্যু কেএনএফ সম্পৃক্ততা : গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতা সম্পর্কে যা জানা গেছে দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ক্যাপ, পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পশ্চিম নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় স্ত্রীর ২৭ স্থানে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১২ উপজেলায় মানববন্ধন রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা

সকল