২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

অভিযুক্ত ইলেক্ট্রিশিয়ান জাকির - নয়া দিগন্ত

বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে গ্রাহকদের নিকট থেকে লাখ লাখ টাকা হাতি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পল্লী বিদ্যুতের এক ইলেক্ট্রিশিয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইলেক্ট্রিশিয়ানের নাম জাকির। তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত রয়েছেন।

জানা যায়, নতুন সংযোগ দিতে ট্র্যান্সমিটার ও মিটার দেয়ার নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গ্রাহক প্রতি পাঁচ হাজার থেকে বিশ হাজার করে নিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরগুনা জেলা পরিষদের ১০নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আবুল কালাম সরদার জানান, দ্রুত ট্র্যান্সমিটার দেয়ার নামে দশ হাজার টাকা নিয়েছে অভিযুক্ত ইলেক্ট্রিশিয়ান জাকির। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্র্যান্সমিটার লাগানো হয়নি। এমনকি সে টাকাও ফেরৎ দেয়নি জাকির।

এছাড়াও জাকির তালতলী এলাকার দক্ষিণ আমতলী গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের কাছ থেকে মিটার দেয়ার নামে এক হাজার চারশত টাকা নিয়েছে। এরপর দীর্ঘ একবছর অতিবাহিত হলেও মিটার পাননি তিনি।

এদিকে কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের তুলাতলী গ্রাম থেকে অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক কাজ না করায় কয়েক মাস পর গত ১৫এপ্রিল বিকেল ৫টায় জাকির ওই এলাকায় আসলে এলাকাবাসী তাকে ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করে।

ইলেক্ট্রিশিয়ান জাকিরের খপ্পরে পড়ে কুয়াকাটার পাঞ্জুপাড়া এলাকার সোহরাব মৃধা, জসিম, নুর ছায়েদসহ ২২পরিবার মিটার না পেয়ে এখন চরম ভোগান্তিতে আছে।

আমতলী পৌরসভার প্যানেল মেয়র জি এম মুসাও রক্ষা পাননি ইলেক্ট্রিশিয়ান জাকিরের হাত থেকে। প্যানেল মেয়রের কুয়াকাটার বাসার মিটার দেয়ার নাম করে ঘুরাচ্ছে দেড় বছর ধরে। অপরদিকে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অনুমোদিত ইলিক্ট্রিশিয়ান পদে যোগদান করাবে মর্মে পাঁচ হাজার টাকা নেয় কুয়াকাটার সোহেলের কাছ থেকে।

কুয়াকাটার সাবেক ইউপি সদস্য তৈয়বুর রহমানের একটি মিটারে ১৫ হাজার টাকা বিল হয়। মিটার বিলের বিষয়টি জাকিরের সাথে আলাপ করলে বিল কমিয়ে দেয়ার কথা বলে মেম্বারের সহধর্মীনি মোসাঃ ফাতিমা বেগমের কাছ থেকে তিন হাজার পাঁচশত টাকা নেয় জাকির।

জানা যায়, কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন ইলিক্ট্রিশিয়ান জাকিরের কম্পিউটার দোকান রয়েছে এবং পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদের সাথে বিদ্যুৎ সংযোগের বিভিন্ন স্থানে কাজ করার ফলে এহেন কর্মকান্ড চালাতে সাহস পাচ্ছেন তিনি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইলিক্ট্রিশিয়ান জাকিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার সহকর্মীদের মধ্যে কয়েকজনে আমার বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ইনচার্জ ডিজিএম প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস অনুমোদিত ইলিক্ট্রিশিয়ানদের কাজ হচ্ছে যে সকল গ্রাহক নতুন সংযোগ নিবে তাদের বাড়ি নিয়ম মোতাবেক চুক্তি করে ওয়ারিংয়ের কাজ করে অফিসে প্রতিবেদন দিবে। তারপর গ্রাহকরা অফিসের সাথে যোগাযোগ করে মিটার নিবে। তবে শুধু জাকির নয়, যদি কেউ, কোনো কাজের জন্য টাকা চায় তাহলে সাথে সাথে তাকে পুলিশে দেয়া উচিত।


আরো সংবাদ



premium cement