১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাড়ি দখলে নিয়েও থেমে নেই, এখন হত্যার হুমকি

লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান রেনু বেগম - ছবি : নয়া দিগন্ত

বরগুনার পাথরঘাটায় আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক ব্যক্তি ও তার বাবাকে হত্যার হুমকি ও তাদের ঘর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নোমানের সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি ও শ্বশুর সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

বুধবার বিকেলে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন নোমানের মা রেনু বেগম।

উপজেলার নাচনাপারা ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের ঘটনা এটি।

লিখিত বক্তব্যে রেনু বেগম বলেন, আমার ছেলে ব্যবসা করার কারণে প্রায়ই ঢাকায় অবস্থান করে। এই সুযোগে আমার ছেলের শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না প্রায় ছয় মাস আগে ঘরের কেচি গেটের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে ঘরটি দখল করে নেয়। পরে আমরা এলে আমাদেরকে মারধর করে।

পরে আবার ঢাকা গেলে কয়েকদিন আগে আমার বাড়ির পাশের কিছুলোক ফোন দিয়ে বলে রাস্তার কাজের জন্য দেয়াল ভাংতে হবে। এই খবর শুনে আমি, আমার স্বামী আব্দুল খালেক খলিফা ও ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান সকালে বাড়িতে এসে পৌঁছলে আগে থেকেই ওঁৎপেতে থাকা ছেলের সাবেক শ্বশুর পান্না মেম্বর তার ছেলে আসফিসহ পাঁচ থেকে সাতজন লোক আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করে। তখন আমার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে পিটায় এবং মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ও ছেলের সাথে থাকা ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোমানকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠান।

নোমানের মা আরো বলেন, পান্না আমাদের বাঁশতলা বাজারের তিনটি দোকানের ভিটি ও নির্বাচন করার জন্য ১১ লাখ টাকা নিয়েছে। তার পরেও আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।

নোমানের সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি জানান, আমার বাবার ছয় লাখ টাকা ও আমার ছেলের ভরণ-পোষণের খরচ দিলেই মীমাংসা হয়ে যাবে।

অভিযোগের ব্যাপারে নোমানের সাবেক শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরা তাদেরকে মারধর করিনি। উল্টো আমাদেরকেই মারধর করার জন্য আমার জামাই নোমান ঢাকা থেকে মাস্তান নিয়ে এসেছে। তারা এসে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করেছে।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হানিফ সিকদার জানান, নোমানের মা রেনু বেগম পাথরঘাটা থানায় মামলা করেছেন। বিবাদীরা বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা আদালতে হাজির হলে মামলার ১ নম্বর আসামি ছাড়া সকলেই হাজির হন। এসময় ৫ ও ৬ নম্বর আসামিকে জেল হাজতে পাঠিয়ে অন্য সবাইকে জামিন দিয়েছে আদালত।

তিনি আরো জানান, নোমানের সাবেক স্ত্রী পপি কোর্টে বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা করেছে যার মধ্যে অসংখ্য অসঙ্গতি রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement