২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনি তালুকদার - সংগৃহীত

উপজেলা নির্বাচন পূর্ববর্তী সহিংসতায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায়। সোমবার দুপুরে বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে এই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মৃত্যু হয়।

নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নাম জনি তালুকদার (২৫)। তিনি উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। নিহত জনি হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড গুলিশাখালী গ্রামের মৃত হাতেম আলী তালুদারের ছেলে।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন (আনারস প্রতীক) জানিয়েছেন, নিহত জনি তার কর্মী ছিলেন। উপজেলা নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হোসাইন মোশাররফ সাকুর কর্মীরাই জনিকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

জানা গেছে, জনি তালুকদার সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে স্থানীয় কবুতরখালী বাজারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাকে ধাওয়া করে মাঠের মধ্যে ফেলে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সাথে সাথে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে ভান্ডারিয়ার কাছাকাছি পৌছলে তার মৃত্যু হয়।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত শনিবার (২৩ মার্চ) আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু ও তার আরও প্রায় ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। তার পক্ষের নেতাদের অভিযোগ, এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মোঃ রিয়াজ উদ্দিনের কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা চালিয়েছেন। যদিও রিয়াজ উদ্দিন উল্টো সাকুর বিরুদ্ধেই তার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ এনেছেন।

এই ঘটনার জের ধরেই সোমবার জনি তালুকদারের ওপর হামলা চালানো হয় বলে জানা যায়।

আরো পড়ুন : চট্টগ্রামে গণপিটুনিতে চাঁদাবাজ আওয়ামী লীগ নেতা নিহত
চট্টগ্রাম ব্যুরো, (০৮ জানুয়ারি ২০১৯)

চট্টগ্রামে ‘গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে’ সাবেক এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মহিউদ্দিন সোহেল। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন।

ঘটনার পরে নিহত সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। চাঁদাবাজির ক্ষোভ থেকেই তিনি গণপিটুনির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।

নিহত সোহেলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তার বাবা রেলওয়েতে কর্মরত থাকার সুবাদে তারা সপরিবারে চট্টগ্রামের খুলশী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিল।

পুলিশ জানায়, চাঁদার দাবিতে এক ব্যবসায়ীকে মাথা ফাটানোর জেরে বাজারের ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয় জনতা মিলে সোমবার সকালে মহিউদ্দিন সোহেলকে পিটুনি দেয় বলে তারা জানতে পেরেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, বাজারের পাশে রেলের দুইটি স্টাফ কোয়ার্টার সোহেল দখল করে রেখেছিলেন। সেখানে বসে তিনি তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করতেন। জনতা অতিষ্ঠ হয়ে সোমবার সকালে তাকে গণপিটুনি দেয় বলে তাদের দাবি।

ব্যবসায়ীরা জানান, নগরীর খুলশী এলাকায় তার একটি ব্যক্তিগত অফিস রয়েছে। সেখানে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন লোকজনকে ধরে নিয়ে চাঁদা দাবি করতেন। চাঁদা না দিলে ইয়াবা অথবা অস্ত্র দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিতেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আহমদ করিম বলেন, ‘শেয়াল যেভাবে মুরগি ধরার জন্য টার্গেট করে, মহিউদ্দিন সোহেল সেভাবে মানুষকে টার্গেট করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় চাঁদাবাজি করতেন। এলাকার বিভিন্ন মানুষের জায়গা দখল করে তিনি ঘর তৈরি করেছেন। সেগুলো থেকে তিনি ভাড়া আদায় করতেন।’

গতকাল ঘটনার আগে পাহাড়তলী বাজারে চাঁদার দাবিতে বিতণ্ডার জেরে একজন ব্যবসায়ী প্রতিবাদ করে উঠলে তাকে মাথা ফাটিয়ে দেন চাঁদাবাজ সোহেল। এ খবর বাজারে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ব্যবসায়ীরা এবং স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে সোহেল ও তার সহযোগীদের গণপিটুনি দেন। এ দিকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট দেড় ঘণ্টা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ করেন।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রামে তরুণের লাশ উদ্ধার : চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার মাইজপাড়া এলাকায় মো: ফারুক (২৮) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ফারুক পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া এলাকার মৃত খাজা আহমেদের সন্তান। গতকাল সোমবার ভোরে পতেঙ্গা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, নিহত ফারুকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো করা হয়েছে।

নিহতের ফারুকের পরিবারের সদস্যরা জানায়, রোববার সন্ধ্যায় বাজারে যাবে বলে ঘর থেকে বের হয়ে রাত অবধি ফিরে না এলে তারা নিকটাত্মীয়দের বাসায় খোঁজ নেয়। সকালে লাশের খবর পেয়ে ফারুকের লাশ বলে তারা শনাক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement