২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শিশু দিবসে বাস চাপায় প্রাণ গেল শিশুর

শিশু দিবসে বাস চাপায় প্রাণ গেল শিশুর - প্রতীকী ছবি

১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস। আর এদিনেই এক নিষ্পাপ ছোট্ট শিশুর প্রাণ কেড়ে নিল ঘাতক বাস। মাত্র দুই টাকা নিয়ে গোসল করার জন্য শ্যাম্পু কিনতে বাড়ির সামনের একটি দোকানে গিয়েছিলো শিশুটি। কিন্তু সেই শ্যাম্পু নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের উজিরপুরে।

বাড়ির সামনেই বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি যাত্রিবাহী বাস কেড়ে নেয় তার প্রাণ। এ হৃদয় বিদারক দুর্ঘটনাটি রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার সোনার বাংলা নামকস্থান ঘটেছে।

বাস চাপায় নিহত শিশুর নাম কাওসার মৃধা (৬)। সে ওই এলাকার দিনমজুর মান্নান মৃধার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু কাওসার গোসলের জন্য দুই টাকা দিয়ে একটি শ্যাম্পুর মিনিপ্যাক কিনতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনের দোকানে যাওয়ার জন্য মহাসড়ক পর হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী বেপরোয়া গতির গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রিবাহী বাস কাওসারকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শিশু কাওসারের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, নিহত শিশু কাওসারের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।

এদিকে পরিবারের একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন নিহত কাওসারের বাবা-মা। সেই সাথে এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।

আরো পড়ুন : পলাশে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
পলাশ (নরসিংদী) সংবাদদাতা, (০৯ মার্চ ২০১৯)

নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের সাথে এক মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী আহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।

একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শুক্রবার দুপুরে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার বাগপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, পলাশ থানার এসআই মনির হোসেন, কনস্টেবল হারুন মিয়া, আবুল হোসেন, দৈনিক মুক্তখবর পত্রিকার সাংবাদিক জুয়েল মিয়া, ঘোড়াশাল পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোমেল মিয়া। এ ছাড়াও স্থানীয়দের মধ্যে আহত হন, সাখাওয়াত হোসেন, রাব্বি মিয়া, সোহেল মিয়া, এমায়েত হোসেন, মানছুর মিয়াসহ ১০ জন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাগপাড়া গ্রামে একটি কাভার্ডভ্যানের সাথে একটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা চরপাড়া গ্রামের রতন মিয়া, জসিম উদ্দিন ও রনি নামে তিন আরোহী গুরুতর আহত হন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত গ্রামবাসী কাভার্ডভ্যান ও বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর চালায়।

একপর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি থেকে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হলে পুলিশ গ্রামবাসীকে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন স্থানীয় এক সাংবাদিক।

সংঘর্ষে আহত সাখাওয়াত হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বেপরোয়া কাভার্ডভ্যান প্রায় সময় বাগপাড়া সড়কে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। দুপুরে তাদের এক কাভার্ডভ্যান বেপরোয়া গতিতে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী গুরুতর আহত হন। বারবার দুর্ঘটনা ঘটালেও প্রতিষ্ঠানটি চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি ঘেরাও করে প্রতিবাদ করেন। এ সময় পুলিশ এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

একপর্যায়ে তারা আমাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়ে। আহত স্থানীয় সাংবাদিক জুয়েল হোসেন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাই। ঘটনাস্থলে গ্রামবাসীর ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি তুলতে গেলে পুলিশের এক সদস্য আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। তখন আমি মিডিয়ার কর্মী পরিচয় দিলেও তারা আমার কোনো কথা শুনেনি। কাউন্সিলর রোমেল জানান, উত্তেজিত জনতাকে থামাতে গিয়ে উভয় পক্ষের হামলায় আমিও আহত হই। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার এসআই মনির হোসেন জানান, সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা প্রাণ আরএফএল প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্সসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা আমাদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তারা আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে আমি ও আমার দুই কনস্টেবল আহত হই। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছয় রাউন ফাঁকা গুলি ছুড়লে উত্তেজিত জনতা সরে যায়। সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়টি আমার জানা নেই।

এ ব্যাপারে পলাশ থানার ওসি মকবুল হোসেন মোল্লা জানান, পুরো বিষয়টি এখনো জানা হয়নি। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।


আরো সংবাদ



premium cement