শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের ঝুলন্ত লাশ
- ঝালকাঠি সংবাদদাতা
- ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:০৩, আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:১৭
ঝালকাঠির নলছিটিতে শ্বশুর বাড়ি থেকে জামাতা নান্না জোমাদ্দারের (৩৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম গোপালপুর গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নান্না জোমাদ্দার শ্বশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মৃত সাহেব আলী জোমাদ্দারের ছেলে নান্না জোমাদ্দারের সঙ্গে ১০ বছর আগে পশ্চিম গোপালপুর গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের মেয়ে রেমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নান্না শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। বিভিন্ন সময় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে শ্বশুর বাড়ির পেছনে একটি গাছের সঙ্গে নান্না জোমাদ্দারের লাশ ঝুলতে দেখে শাশুড়ি চিৎকার শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় মোল্লারহাট পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই চাঁন মিয়া জানান, ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরো দেখুন : লাশ দুটি কার
নয়া দিগন্ত অনলাইন; ১২ মার্চ ২০১৯, ১৫:০৫
পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরো ৫ জনের লাশের পরিচয় সনাক্ত করেছে সিআইডি। এনিয়ে এপর্যন্ত মোট ১৬টি লাশের পরিচয় সনাক্ত করেছে তারা।
সনাক্ত হওয়া প্রথম লাশটি হচ্ছে হাজী ইসমাইলের। তার বাবা মোঃ সোহরাব হোসেনের সঙ্গে তার ডিএনএ মিলেছে। দ্বিতীয় লাশটি ফয়সাল সারোওয়ারের, তৃতীয়টি রেনুমা তাবাসসুম দোলা, চতুর্থ মোস্তফা ও পঞ্চমটি মোঃ জাফরের।
মঙ্গলবার মালিবাগে সিআইডি’র অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এখনো ২টি লাশ ও ৩ টি পরিবারের ডিএনএ নমুনা আমাদের কাছে রয়েছে। তবে দুই লাশের সঙ্গে এই তিন পরিবারের কারো ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। এগুলো মর্গে থাকবে। কেউ লাশগুলোর দাবি করলে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে মেলানো হবে।
তিনি আরো বলেন, লাশ সনাক্তের কাজটি দুরূহ ও সময় সাপেক্ষ ছিল। আমরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দুটি ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে পাঠাই এবং আলামত সংগ্রহ করি। এছাড়াও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের পর অন্যান্য রুটিন কাজ বাদ দিয়ে পরিচয় সনাক্তের কাজটিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করেছি।
এর আগে গত ৬ মার্চ ১১ জনের লাশ সনাক্ত করেছে সিআইডি। তারা হচ্ছেন ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মোঃ ইব্রাহীম, মোঃ এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, মোঃ শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান, নুরুল হক।
২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ৬৪ নম্বর ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এঘটনায় ঘটনাস্থলে এ পর্যন্ত মোট ৬৭ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করে ঢাকা জেলা প্রশাসন।
পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন চারজন মারা যায়।
২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ এলাকায় স্বজন দাবিদারদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি।