২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

৮ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষকের মারধর

প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফের মারধরে আহত এক শিক্ষার্থী - নয়া দিগন্ত

ভোলার দৌলতখানে ৮ এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করছেন এক প্রধান শিক্ষক। সোমবার দুপুরে দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। প্রধান শিক্ষকের নাম মিজান শরীফ।

শিক্ষকের মারধরে আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন- ফারজানা আক্তার, নিলা আক্তার, নিলুফা আক্তার, রাবেয়া আক্তার, আরিফা আক্তার, হাফসা, সোনিয়া, মোঃ রাশেদ, অটো ড্রাইভার জামাল উদ্দিন।

জানা গেছে, দৌলতখান উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব নলগড়া দাখিল মাদ্রাসার ৮জন এসএসসি পরীক্ষার্থী অটোরিকশা যোগে আবু আবদুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রওনা দেয়। পথিমধ্যে শরীফ বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ অটোরিকশাটি থামিয়ে উঠার চেষ্টা করেন। অটোতে জায়গা না থাকায় ড্রাইভার অটো না থামিয়ে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে চলে যায়।

এতে প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে অটোরিকশার পিছু নেন। পরীক্ষা শেষে ৮জন পরীক্ষার্থী ওই অটোরিকশা যোগে বাড়িতে রওনা হয়। অটোরিকশাটি জয়নগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে লিটন চেয়ারম্যানের ঘেরের কাছে আসলে প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফ ও তার সাথে থাকা আরেক শিক্ষক অটোটি থামিয়ে ড্রাইভার জামাল উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।

এসময় পরীক্ষার্থীরা মিজান শরীফকে বাঁধা দিলে ফারজানা আক্তার, নিলা আক্তার, নিলুফা আক্তার, রাবেয়া আক্তার, আরিফা আক্তার, হাফসা, সোনিয়া, মোঃ রাশেদকেও মারধর করেন তিনি। এতে পরীক্ষার্থী ফারজানা আক্তার ও ড্রাইভার জামাল উদ্দিন গুরুতর আহত হন।

এদিকে মারধরে জামাল উদ্দিনের হাত ভেঙ্গে যায় বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ফারজানা আক্তার ও ড্রাইভার জামাল উদ্দিনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মিজান শরীফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement