২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শ্লীলতাহানির পর সেই বখাটের সাথেই কলেজশিক্ষার্থীর বিয়ে

শ্লীলতাহানির পর সেই বখাটের সাথেই কলেজশিক্ষার্থীর বিয়ে - ছবি : সংগৃহীত

বরগুনার পাথরঘাটা কলেজের অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়েছে সেই বখাটে প্রেমিক পার্থ রায়ের সাথে। সোমবার রাতে পাথরঘাটা কেন্দ্রীয় মন্দিরে ওই মেয়ের বিয়ে হয়।

এর আগে সোমবার পাথরঘাটা কলেজের অনার্স ভবনের একটি কক্ষে সকাল ১০টার দিকে নিয়ে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি এবং মারধর করার অভিযোগে পার্থ রায়কে (২১) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরে স্থানীয় পর্যায় অভিভাবকদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়। সোমবার বিকেলে পাথরঘাটা উপজেলা হিন্দু,বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অরুণ কর্মকারের নেতৃত্বে পাথরঘাটা থানা থেকে শিক্ষার্থী ও পার্থ রায়কে নিয়ে আসেন। জানা যায়, প্রথমে মেয়ের বাবা রাজি না হলেও পরে বিয়েতে রাজি হন।

অরুণ কর্মকার জানান, দুজনে মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে বিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ শিকদার বলেন, বিষয়টি অভিভাবক পর্যায় সমাধান হয়ে গেছে। মেয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।

ধর্ষিতার বাবা ও শিক্ষক যখন আসামি
পিরোজপুর সংবাদদাতা

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মাদরাসাছাত্রী গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলায় আসামি করা হয়েছে ধর্ষিতার বাবা ও শিক্ষককে।

উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে গত ১২ জানুয়ারি দিবালোকে মাদরাসার ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ধর্ষণের ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় মামলার পর আসামি সজল জমাদ্দার ও রাবিক নিখোঁজ হয়। গত ২৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি উপজেলার কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ সজল জমাদ্দারের লাশ বলতলা গ্রামের একটি খোলা মাঠ থেকে উদ্ধার করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ সজলের লাশের ময়না তদন্তের পর লাশ বাবা শাহ আলম জমাদ্দারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


এ ঘটনায় ২৮ জানুয়ারি ভান্ডারিয়ার নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম জমাদ্দার বাদি হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো আজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ধর্ষিতার বাবাসহ তার মাদরাসার শিক্ষককেও আসামি করা হয়েছে।

নদমূলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মিঠুকে আসামি করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মিঠু পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে কাঁঠালিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী অফিসার গাজী বজলুর রহমান জানান, বাদি এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘তারা আমার পূর্বশত্রু। আমার ছেলেকে এরা হত্যা করতে পারে।’

বজলুল রহমান আরো বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখবো, যদি তারা হত্যাকারী হয় তাহলেই তারা আসামি হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement