১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ধর্ষিতার বাবা ও শিক্ষক যখন আসামি

ধর্ষণ
ধর্ষিতার বাবা ও শিক্ষক ধর্ষক হত্যা মামলার আসামি! - নয়া দিগন্ত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মাদরাসাছাত্রী গণধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলায় আসামি করা হয়েছে ধর্ষিতার বাবা ও শিক্ষককে।

উপজেলার হেতালিয়া গ্রামে গত ১২ জানুয়ারি দিবালোকে মাদরাসার ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল। ধর্ষণের ঘটনায় ভান্ডারিয়া থানায় মামলার পর আসামি সজল জমাদ্দার ও রাবিক নিখোঁজ হয়। গত ২৬ জানুয়ারি ঝালকাঠি উপজেলার কাঁঠালিয়া থানার পুলিশ সজল জমাদ্দারের লাশ বলতলা গ্রামের একটি খোলা মাঠ থেকে উদ্ধার করে। মাথায় গুলিবিদ্ধ সজলের লাশের ময়না তদন্তের পর লাশ বাবা শাহ আলম জমাদ্দারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় ২৮ জানুয়ারি ভান্ডারিয়ার নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম জমাদ্দার বাদি হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো আজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ধর্ষিতার বাবাসহ তার মাদরাসার শিক্ষককেও আসামি করা হয়েছে।

নদমূলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মিঠুকে আসামি করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মিঠু পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে কাঁঠালিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী অফিসার গাজী বজলুর রহমান জানান, বাদি এজাহারে নয়জনের নাম উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘তারা আমার পূর্বশত্রু। আমার ছেলেকে এরা হত্যা করতে পারে।’

বজলুল রহমান আরো বলেন, আমরা তদন্ত করে দেখবো, যদি তারা হত্যাকারী হয় তাহলেই তারা আসামি হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement