২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এসএসসি’র প্রবেশপত্র বিতরণেও ফি আদায়

এসএসসি’র প্রবেশপত্র বিতরণেও ফি আদায় - সংগৃহীত

শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে এসএসসি পরীক্ষাদের কাছ থেকে পুনরায় প্রবেশপত্র ফি ও ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বরিশালের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে।

এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্র ফিসহ সব টাকা পরিশোধ করা স্বত্বেও পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাহিলাড়া এনএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৌরনদী গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, সরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ওই উপজেলার অধিকংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসএসসির প্রবেশপত্র ও ব্যবহারিকের নামে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা করে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছেন।

বাটাজোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অর্চনা রানী অভিযোগ করেন, বাটাজোর অশ্বিনী কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার পুত্রের প্রবেশপত্রের জন্য তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা আদায় করেছেন।

খবর নিয়ে জানা গেছে, সকল অভিভাবকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ।

গেরাকুল বেগম আখতারুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানায়, তাদের কাছে কোন পাওনা টাকা না থাকা সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্রের জন্য ৪৫০ টাকা করে আদায় করে নিয়েছে। মাহিলাড়া এএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশপত্রের জন্য ৪০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

প্রতিটি স্কুলে একই হারে প্রবেশপত্র বিতরণের জন্য টাকা আদায় করা হয়েছে। একাধিক অভিভাবকরা জানান, সম্প্রতি সময়ে ফরম পূরণের জন্য অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে দুদক কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বরিশাল অফিসে তলব করেছিলেন। ওইসময় কতিপয় শিক্ষার্থী প্রধানশিক্ষকদের শেখানো বুলি দুদক কর্মকর্তাদের কাছে পেশ করে জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত কোন অর্থ নেয়া হয়নি। পরবর্তীতে দুদক কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার অজুহাতে ওইসব বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রধানশিক্ষকরা।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলার অভিযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষকরা জানান, প্রবেশপত্রের জন্য কোন টাকা নেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্কুলের পাওনা টাকা আদায় করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্দুল জলিল বলেন, আমি আগে থেকেই এসএসসির প্রবেশপত্র প্রদানের ক্ষেত্রে ফি না নেয়ার জন্য সব স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের জানিয়েছি। এরপরেও তারা ফি নিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement