২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বরগুনা-২ : তৃণমূলের আস্থা মাহবুবে, মনির পক্ষে অতীত রেকর্ড

অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন ও নুরুল ইসলাম মনি - ছবি : সংগ্রহ

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় ১১০ বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক কে পাচ্ছেন এমন প্রশ্ন এখন সবার মুখে ?  এ আসন একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত থাকলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে এটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে দুজনকে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে। এরা হলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনি। তারা উভয়ই দলীয় মনোনয়নপত্র রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছেন।

এলাকার তৃনমুলের আস্থায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, তিনি দীর্ঘ ১২ টি বছর ধরে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে শক্ত হাতে দলটি পরিচালনা করে আসছেন। এমনকি বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ দলের শীর্ষ নেতাদের আইনী সহায়তাও দিয়েছেন তিনি; কিন্তু গত ১২ টি বছরে দলে যার সম্পৃক্ততা নেই সেই সাবেক সাংসদ নুরুল ইসলাম মনিকে দল থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে তৃনমুলে।

আগামী ৮ ডিসেম্বর চুড়ান্তভাবে কে পাচ্ছেন ধানের শীষ প্রতীক এমন প্রশ্ন বরগুনাবাসীর। উভয় প্রার্থীর সমর্থকরা দাবি করছেন- তাদের নেতাই মনোনয়ন পাচ্ছে। বরগুনা-২ আসনে এ নিয়ে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের মাঝে দিন দিন ব্যাপক ক্ষোভ বাড়ছে । অনিশ্চয়তায়ও ভুগছেন তারা।

এ আসনে বিগত বছরগুলোতে বিএনপির নেতা হিসেবে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। নেতাকর্মীদের বড় অংশই সরকারের দমন-পীড়নের মুখেও তার নেতৃত্বে আসনটি পুনরোদ্ধার করার মিশনে নামতে চায়। দলীয়ভাবে যারা বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন মোট পাঁচ জন। তার মধ্যে থেকে খন্দকার মাহবুব ও মনিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বামনা উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার মহিদুল ইসলাম মোর্শেদ বলেন, কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের দলে ত্যাগ অপরিসীম, তার সাথে অন্য কারো মনোনয়ন পাওয়ায় লড়াই হওয়ার প্রশ্নেই আসে না, তিনিই দলের প্রতীক পাবেন ইনশাআল্লাহ।  এই স্থানীয় নেতার অভিযোগ দীর্ঘ ১২ বছর নুরুল ইসলাম মনির সাথে দলের সম্পৃক্ততা ছিলো না, এমনকি এলাকাতেও আসেননি তিনি।

বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক ও ওলামা দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মাওলানা মো: শামীম বলেন, খন্দকার মাহবুব শুধু আইনী সহায়তা করেননি, তিনি বিএনপির একজন হেভিওয়েট ব্যাক্তিত্ব সুতারাং তাকেই দল প্রতীক দিয়ে এ সংসদীয় আসটি পুনরায় উদ্ধার করা যাবে। তিনি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা।

মনোনয়ন প্রশ্নে অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, আমি কেন্দ্রঘোষিত সকল কর্মসুচী নেতাকর্মীদের সামনে থেকে পালন করে আসছি। কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে দলের সার্বিক সহায়তা করে আসছি। যতদিন জীবিত থাকবো শহীদ জিয়ার আদর্শ ধারণ করে দলের জন্য কাজ করে যাব। দল প্রতীক দিলে বিজয়ী হয়ে বিএনপিকে আসনটি পুনরায় উপহার দিতে পারবো বলে আশাবাদী।

এ ব্যপারে বিএনপির অপর প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মনি বলেন, আমি তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য। বামনা-পাথরঘাটার সকল সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি যা এলাকার সাধারণ মানুষ এখনো হৃদয়ে ধারণ করে আছে। আমার বিগত বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে দল আমাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন আশা করছি।


আরো সংবাদ



premium cement